বন্দরে এহসান চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদার দাবিতে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলার বাদী নিয়াজ উদ্দিন সোনারগাঁয়ে হেফাজত কর্মী ইকবাল হত্যা মামলার ২৯নং আসামি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলারও আসামি। বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদও ৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা একাধিক মামলার আসামি হয়ে এলাকা ছাড়া আছেন। স্থানীয়দের দাবি- এলাকায় না থেকেও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে আসামি করা হয়েছে এহসান উদ্দিন আহমেদকে।

মামলার আসামিরা- এহসান উদ্দিন, মো. তানজিল, মিনতাজ, গোলাম হোসেন, মো. বাপ্পি, মো. শান্ত, সালাম, হাসান, রিফাত, রহমান, জাহিদ, বুলেট, মো. সালাউদ্দিন, জয় সহ অজ্ঞাত আরও ৪৫-৫০ জন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বন্দর থানাধীন টি হোসেন রোড এলাকায় বাদী নিয়াজ উদ্দিনের মালিকানাধীন কদমরসুল কমিউনিটি সেন্টারে অভিযুক্তরা চাঁদার দাবিতে হামলা চালায়। ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রায় ৪০-৪৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে প্রবেশ করে।

তারা কমিউনিটি সেন্টারের কাচের গ্লাস, থাই গ্লাস, সিলিং ফ্যানসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করে। এ সময় বাদী বাধা দিতে গেলে তানজিল লোহার পাইপ দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং রামদা দিয়ে গুরুতর জখম করে। বাদীর ভাগিনা বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়া হলেও তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এছাড়াও অভিযুক্তরা ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম পিপিএম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, “এই ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”