তৈমূরের রিটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাচ্ছে ক্ষতিপূরণ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের সমর্থনে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন ড. তৈমূর আলম খন্দকার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি ও ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

জুলাই মাসে নারায়ণগঞ্জে শিশু রিয়া গোপসহ সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে হেলিকপ্টারে নিহতের বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন তৈমূর আলম খন্দকার।

গত ৩০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের শিশু রিয়া গোপসহ ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রিট পিটিশন দায়ের করেন এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তৈমূর আলম খন্দকার। যার রিট পিটিশন নং ৯৬৮৮/২৪। পরবর্তীতে রিটটি ১৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ইস্যু করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে নিহতদের পরিবারগুলোতে ৫০ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে এক কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দাবি করা হয়।

১৭ ডিসেম্বর রিট পিটিশনটি শুনানি শেষে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোতে ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকারের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ৫ লাখ টাকা করে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদান শুরু করেছে সরকার।

সূত্র বলছে, তৈমূর আলম খন্দকার রিট পিটিশনে ৯জন শিশুর নাম উল্লেখ্য করলেও যার মধ্যে ৬৬ জনের নাম সম্পৃক্ত করে সরকার, এর মধ্যে ৫৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে এবং বাকিরা বিভিন্নভাবে নিহত হয়।

জানাগেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে করা গুলিতে ৯ শিশুর নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের করা রিটে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে। প্রত্যেকক পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। যেখানে নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপ রয়েছে।

এর আগে, গত ৩০ জুলাই ড. তৈমুর আলম খন্দকার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার অংশবিশেষ সংগ্রহ করে রিটটি দাখিল করেন। রিটে নিহত ৯ শিশুর বিষয়ে তদন্তের পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিলো।

সেই সঙ্গে পরবর্তীতে যদি অন্য কোন শিশু মৃত্যুর সন্ধান পাওয়া যায় তবে তাকেও এই ক্ষতিপূরণের আওতাভুক্ত করা হবে রিটে বলা হয়। সেই সাথে পরবর্তীতে আরও নামযুক্ত করা হয়। একই সাথে এই রিটের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে বিচারক ক্ষতিপূরণ দেয়া সহ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করার জন্য বলা হয়।

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, একটা ছাত্র আন্দোলন হয়েছে। আমি আগেও বলেছি ছাত্র আন্দোলন কোনোদিন বিফল হয় না। সরকারের অদায়িত্বশীল কথাবার্তার কথা বলেছি। একটা আন্দোলন হয়েছে গুলি হয়েছে রাজপথে। এটার জন্য ওই সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী আমি রিট করেছিলাম। প্রত্যেককে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য দাবী করেছিলাম। আপাতত তাদের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের আরও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। সেই সাথে রাষ্ট্রকে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করার কথা বলেছেন কোর্ট।

এখানে আরো উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার তল্লা জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের পক্ষেও ক্ষতিপুরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। তার রিটে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল। এ ছাড়াও পদ্দাসেতুতে মটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে রিট করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে সরকার পদ্মাসেতুতে মটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেন।