ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কাজী মনির: দিপু ভুঁইয়া অনুগামীরা ভুগছে হতাশায়!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়ার কর্মী গোলাম ফারুক খোকন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদটি হারিয়েছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের অনুগামীরা। যেখানে এই কমিটি বিলুপ্তির পর চরম হতাশায় ভুগছেন দিপু ভুঁইয়া অনুগামীরা। কারন বিএনপির কেন্দ্রের তদন্ত কমিটি গঠনের পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শেষে কমিটির সুপারিশে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কমিটি বিলুপ্তির পর রূপগঞ্জে কাজী মনির অনুগামীরা উল্লাস ও আর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

সূত্রমতে, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটি দুই বছরের মাথায় পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে। ৩ বছর ৮ দিনের মাথায় ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৈমূর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

২০২২ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় প্রথমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, পরে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তৈমূরকে। ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর মনিরুল ইসলাম রবিকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয়। ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারী তৈমূরকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্র সচিব করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। ২০২৩ সালের ১৮ জুন জেলা বিএনপির সম্মেলনে গিয়াস সভাপতি ও খোকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কাজী মনির জেলা বিএনপির সভাপতি থাকাকালীন সময়ে অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুনকে সভাপতি ও বাছির উদ্দীন বাচ্চুকে সাধারণ সম্পাদক করে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু জেলা বিএনপির পদ হারানোর পর নিজেদের পদ টিকিয়ে রাখার আশায় কাজী মনিরকে পল্টি দিয়ে দিপু ভুঁইয়া বলয়ে পা বাড়ান হুমায়ুন ও বাচ্চু। গোলাম ফারুক খোকন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকায় রূপগঞ্জের বিভিন্ন কমিটিগুলো দিপু ভুঁইয়ার অনুগামীদের দিয়ে গঠিত হয়। জনে জনে কাজী মনিরের সঙ্গে পল্টি দিতে থাকেন।

এদিকে নেতাকর্মী শূণ্যতায় ভুগতে থাকেন কাজী মনির। কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মোশারফ হোসেন, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহবুব হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আবু মাসুম, সুলতান মাহামুদ ও মাসুদুর রহমানদের মত নেতাদের নিয়ে রূপগঞ্জে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলেন কাজী মনির। কিন্তু জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার পর কাজী মনিরের সেই চিত্র পরিবর্তন হয়ে গেছে। কাজী মনির শিবিরে পালের হাওয়া বইছে। নেতাকর্মীরা আবারো ঝুকছে কাজী মনিরের দিকে। ভাটা পড়েছে দিপু ভুঁইয়া বলয়ে। যারা কাজী মনিরের সঙ্গে পল্টি দিয়েছিলেন তারা আবারো কাজী মনিরের শিবিরে ভীড়ার চেষ্টা করছেন। কারন সামনে জেলা বিএনপির কমিটি কাজী মনিরের ঘনিষ্ঠজনেরা পাচ্ছেন নেতৃত্ব। খোকনের বিতর্কের কারনে কমিটি হারিয়েছেন। যে কারনে পুনরায় খোকনের কমিটিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নাই।