ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ জামিনে মুক্ত

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়েছে। তবে রাসেল মাহমুদ মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছে বলে দাবি তার পরিবারের।

৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান রাসেল মাহমুদ।

রাসেল মাহমুদের আইনজীবী জানান, যুবদল নেতা আনু হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়েছে। এই মামলায় রাসেল মাহমুদ কোনোভাবে জড়িত নয় বিধায় উচ্চ আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। প্রতিহিংসাবসত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোনিতভাবে আনু হত্যা মামলায় ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে আসামী করা হয়। রাসেল মাহমুদ সহ তার স্ত্রী কোনোভাবে জড়িত নয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা সঠিক তদন্ত করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, আনু মারা যাওয়ার পর আনুর সম্পত্তি তার ভাইয়েরা দখল করে নিয়েছে। বাবার সম্পদ ছেলে মেয়েরা পায়। কিন্তু ভাইয়েরা কেন দখল করে নিলো। আনুর মৃত্যুর পিছনে সম্পত্তি দখলের বিষয় রয়েছে বলে আমি মনে করছি।

এখানে উল্লেখ্যযে, চলতি বছরের গত ২৬ আগস্ট দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাবেক যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু। ঐ দিন রাতে নগরীর মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সেঞ্চুরী হেলেনা এপার্টমেন্টের নিচে লিফটের খালি জায়গায় জমে থাকা পানিতে ভাসতে দেখা যায়। তিনি হেলেনা কটেজ এর ৯ম তলার ভাড়াটিয়া ছিলেন।

নিহত আনোয়ার হোসেন আনু নাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই এবং মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদশা বাদী হয়ে নিহতের ভাতিজা ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার মেয়ে ও রাসেল মাহমুদের স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্না (৪২), নিহতের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১), নিহতের পুত্র সারিদ হোসেন (১৯), শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার দুই ছেলে নুর আলম (৪৫) ও কাজল (৩২) এবং মেয়ে রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬), বিসিক শিল্পনগরীর মার্টিন গার্মেন্টস এর গলি এলাকার বাসিন্দা গোল মোহাম্মদ। এদের মধ্যে ঘটনার পরপরই নিহতের মেয়ে ও পুত্রসহ ৫ জনকে আটক করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ। পরে মামলাটি পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পান। পরে পিবিআই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে রাসেল মাহমুদ ও পাপিয়া আক্তার পান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।