সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের দুই সদস্য যখন আসামি পক্ষের লোকজনদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় হ্যান্ডক্যাপ সহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালিয়েছিল এক মাদক মামলার আসামি। তবে আদালতের প্রধান গেটের বাহিরে থেকেই বেশকজন পুলিশ সদস্যরাও দৌড়ে আসামিকে আটক করতে সক্ষম হন। ১৫ মে বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন ওই আসামির নাম শাহআলম। সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি মাদক মামলার আসামি। আদালতে হাজিরা দিয়ে পালানোর চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে তিনি আসামি পক্ষের লোকজনদের কাছে পুলিশের টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যদি কোন পুলিশ সদস্য এটা করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি যদি কোন পুলিশের গাফিলতি থাকে তাহলেও তার বিরদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে আসামি শাহআলমকে আদালত থেকে গারদে নেয়ার সময় ওই আসামির স্বজনদের কাছ থেকে দুই পুলিশ সদস্য টাকা নেয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে ওই আসামি হ্যান্ডক্যাপ সহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে আদালতের বাহিরে গেটের সামনে থেকে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় তাকে আটক করতে সক্ষম হন।
ওই সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, কোর্ট পুলিশের সদস্যরা প্রতিটি আসামিদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকে। আসামি ছেড়ে টাকা নেয়ায় ব্যস্ত থাকেন তারা। যে কারনে অতীতেও নারায়ণগঞ্জ কোর্ট থেকে অনেক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি গারদখানায় রাখার সময় আসামিদের সাথে দেখা ও ভিতরে গিয়ে কথা বলতে হলে কোর্ট পুলিশকে দিতে হয় ৫’শ টাকা করে। খাবার দিতে প্যাকেট প্রতি দিতে হয় ২’শ টাকা করে। আর গারদের সামনে কেচি গেটের বাহিরে থেকে কথা বলার সুযোগের বিনিময়ে পুলিশকে দিতে হয় ১’শ টাকা করে।