সাখাওয়াত-টিপুকে অবজ্ঞা: ব্যক্তি আজাদের মুঠোবন্ধি মহানগর যুবদল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের একচ্ছত্র অধিপতি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে থাকার চেয়ে আড়াইহাজারের এই আজদের তেলবাজিতে মাতোয়ারা মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতারা। আজাদের সামনে নতমস্তিস্কে জি হুজুর জি হুজুরে ব্যস্ত মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ। মহানগর যুবদলের কমিটি গঠনের পুর্ব থেকেই মহানগরীর রাজনীতির চেয়ে আড়াইহাজারে আজাদের পাশে বসে রাজনীতিতে ব্যস্ত ছিলেন সজল। বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদও সেই একই পথে পা বাড়িয়েছেন।

জানাগেছে, ১৪ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট লম্বা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। এর আগে ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট মনিরুল ইসলাম সজলকে আহ্বায়ক, সাগর প্রধানকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাহেদ আহমেদকে সদস্য সচিব করে মহানগর যুবদলের তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় যুবদল। সেই কমিটির তিনজনকে স্বপদে বহাল রেখে ৫১ সদস্যের কমিটি করা হয়। এই কমিটি মুলত সজল ও সাহেদের একক পছন্দে তাদের দেয়া তালিকা অনুসারে অনুমোদন করে দেয় কেন্দ্রীয় যুবদল।

এই ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর কোনো রকম পরামর্শ গ্রহণ করেনি সজল ও সাহেদ। মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার পছন্দের কোনো কর্মীকেও ভালো পদে রাখেনি সজল ও সাহেদ। সাখাওয়াত ও টিপুর সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন রাজপথের নেতাকর্মীরা কমিটিতে উল্টো অবমুল্যায়িত হয়েছেন। মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে যেসব নেতারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে হামলা মামলা জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন সেইসব যুবদল নেতারা ঠাই পায়নি সজল ও সাহেদের পছন্দের তালিকায়। কিন্তু তারা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত ও সদস্য সচিব টিপুর মতামতের চেয়ে নজরুল ইসলাম আজাদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বেশি।

এদিকে ৫১ সদস্যের কমিটি গঠনের পর ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর বনানী কবরস্থান জিয়ারত করেছে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে নজরুল ইসলাম আজাদ ও তার ছোট ভাই রাকিবুর রহমানকে অতিথি করে নিয়ে গেলেও সেখানে ঠাই পাননি সাখাওয়াত ও টিপু। মোটকথা মহানগর যুবদলের বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিক ও আন্দোলন কর্মসূচিসহ যেকোনো কর্মকাণ্ডে মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাজনীতি করে আসছেন।