সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক গৃহবধূকে গণধষর্ণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুুলিশ। এরা হলো- উপজেলার গাজীপুরা মুকুন্দী এলাকার সাহাদ আলীর ছেলে মোবারক ও আলাউদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব। আসামিদের ১৭ মে শুক্রবার দুপুরে আসামিদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠিয়েছে পুুলিশ। এ বিষয়ের সত্যতা জানিয়েছেন আড়াইহাজার থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।
এর আগে বৃহম্পতিবার ওই নারী বাদী হয়ে ৪ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। অপর আসামিরা হলো- একই এলাকার সাহাদ আলীর ছেলে সেলিম, ছালামের ছেলে মাঈনউদ্দিন, কফিল উদ্দিনের ছেলে সোহেল ও নিজামউদ্দিনের ছেলে আবুল।
তবে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ধর্ষিতা চার ওই নারী সন্তানের জননী ও স্থানীয় এক রিকশা চালকের স্ত্রী। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আফসারউদ্দিন খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের দাবী মোবারক ও ইয়াকুবকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তারা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলনা। এ ঘটনায় তারা জড়িত নয়। ইয়াকুবের বোন তাছলিমা দাবি করেন, তার ভাই রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তার ভাই নির্দোষ। তাকে পুলিশ মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এ সময় দুই পরিবারের লোকজনকে থানা ফটকে আহাজারি করতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত. ওই নারীকে এলাকার চার বখাটে র্দীঘদিন ধরে মোবাইলে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাতে তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না। ৬ই মে সন্ধ্যায় তিনি বাড়ির বাইরে বের হলে একা পেয়ে সেলিম তাকে মুখ চেপে ধরে কাপড় পেঁচিয়ে পাশেই একটি পুকুর পাড়ে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিল একই এলাকার আবুল, সোহেল ও নাঈমউদ্দিন। তার সহযোগিরা তার হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে রাখে সেলিম তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় নাঈমউদ্দিন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।
তিনি আরো জানান, সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে গোপন রাখেন। কিন্তু সংঘবদ্ধ এ ধর্ষকচক্র ধারণকৃত ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার হুমকি দিয়ে তাকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে গৃহবধূ পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এ নিয়ে পরে এলাকায় বিচার-সালিশ করতে চাইলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে উল্টো তাকে অপবাদ দিতে থাকে।