সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী জুনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ একটি প্রতিবাদী সংগঠন। সংখ্যালঘুদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল জননেত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং পূজা উদযাপন পরিষদ নিয়ে কারোও কোন পকেট কমিটি চলবে না। সকল কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে হবে।’
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে খোকন সাহা এসব কথা বলেন। ১৭ মে শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিল পূজা মন্দির প্রাঙ্গণে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে এমপি একেএম শামীম ওসমান ও এমপি একেএম সেলিম ওসমানের সুস্থ্যতা কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাডভোকেট খোকন সাহা আরোও বলেন, তৃনমুল নেতাকর্মীদের আপদ বিপদে যারা সব সময় পাশে থাকবে তাদের দিয়েই নতুন জেলা ও মহানগর গঠন করা হবে। যারা সংগঠনের জন্য কাজ করবে তাদেরকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে বিশাল আকারে দিনব্যাপী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হবে।
ঐতিহাসিক ১৭ মে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিষয়ে অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আজকের এই মহান দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন নারায়ণগঞ্জ জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুখ দু:খের সাথি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেন এবং তাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দুই এমপির সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বর্তমান জেলা কমিটির নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বলেন, জেলা কমিটির সভাপতি শংকর কুমার ও সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা বিগত সময়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কোন খোঁজ নেননি।
তাদের দাবি- এমনকি বিপদ আপদেও তাদের কাউকে পাশে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়। এ সকল অযোগ্য নেতাদের দিয়ে কখনো পূজা পরিষদের মত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন চলতে পারেনা। আমরা জেলা কমিটির পরিবর্তন চাই। আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে তৃনমুল নেতাকর্মীদের পছন্দের নেতাদের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেখতে চাই ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শিশির ঘোষ অমরের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব বাসু দেব সিংহের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হালদার, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় চন্দ্র সরকার, যুগ্ম সম্পাদক মনোরঞ্জন দাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক কালীপদ মল্লিক, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অরুন কুমার দাস, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম সাহা, কোষাধ্যক্ষ সুশীল দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক উত্তম সাহা, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে, সোনারগাঁও থানা পূজা উদযাপন পরিষদের লোকনাথ দত্ত, আড়াইহাজার থানা কমিটির সভাপতি হারাধন চন্দ্র দে, ফতুল্লা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি প্রদীপ মন্ডল, সহ-সম্পাদক অরুণ দাশ, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস ও জাতীয় হিন্দু মহাজোটের জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার দে প্রমূখ।
এ সময়ে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন শিশির ঘোষ অমরকে সভাপতি ও খোকন বর্মণ সাধারণ সম্পাদক করে আগামী দুই বছরের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।