ফতুল্লায় মামুন হত্যা: অভিযুক্ত আক্তার-সুমনের বাড়ির কেয়ারটেকার সহ গ্রেপ্তার ২

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কাইচাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র মো. আরছ আলী ওরফে আরব আলী (৪৬) এবং তার ছোট ভাই আজমীর (২৬)।

১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে, আদালত আরছ আলী ওরফে আরব আলীকে তিন দিনের এবং আজমীরকে দুই দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

এ ঘটনার আগে, শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ফতুল্লা থানার লালখা শীতলক্ষা মাঠ থেকে আজমীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে গাজীপুর থেকে আরছ আলী ওরফে আরব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আরছ আলী ওরফে আরব আলী, আওয়ামী লীগের ক্যাডার আক্তার-সুমনের বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের পর ওই অস্ত্রটি নিরাপদে সরিয়ে রাখার দায়িত্ব পালন করে এ দুজন। হত্যার পর, আক্তার-সুমনের বাড়িতে গিয়ে অস্ত্রটি আরছ আলীকে দেওয়ার পর, তিনি তা শীতলক্ষা মাঠে নিজের ভাড়া বাসায় রেখে আত্মগোপনে চলে যান।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টার দিকে ফতুল্লা পূর্ব লালপুর রেললাইনের নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার একদিন পর মামুনের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যার মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আরিফুল ইসলাম আরিফ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে, যিনি ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।