অধ্যাপক মামুনের নেতৃত্বে জিয়ার মাজারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সঙ্গে নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহামুদের নেতৃত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও ফুল দিয় শ্রদ্ধা জানায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, শরীফ আহমেদ টুটুল, রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুল হাই রাজু সহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

এ ছাড়া জেলা বিএনপির আওতাধীন থানা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, কৃষকদল, মহিলাদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা এক দানবীয় শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছি। জনগণের আন্দোলনের চাপে সরকারকে পিছু হটতে হয়েছে। আমরা আশা করি, এই নতুন পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে একটি মানবিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি দমন-পীড়নের অধ্যায় পেরিয়ে এসেছি, যেখানে আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছিল। এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।