মর্গ্যান গার্লস স্কুলের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার: রিয়াদ

সান নারায়ণগঞ্জ

মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বিগত সময়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির ১ম সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ ।

১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর দেওভোগ পাক্কারোড়ের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি।

রাফি উদ্দিন রিয়াদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এর দাতা সদস্যের জন্য ৩ লক্ষ টাকা জমা দেই। জমা দেওয়ার পরে একটা পক্ষ আমাকে দমিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল এবং অপপ্রচার শুরু করে। আমি যদি এইখানে স্কুলের দায়িত্বে আসি তাহলে তাদের বিভিন্ন ধরনের যে কুকর্ম এবং তাদের যে সেন্টিকেট ব্যবসা তা বন্ধ হয়ে যাবে। সদস্য ফর্ম জমা দেওয়ার পর আমি একবার স্কুলে যাই এবং সেখানে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা উনার নিকট নির্বাচনের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তথ্য চেয়ে একটি তফসিল চেয়েছিলাম তো তিনি তখন সেটি আমাকে দিতে দ্বিধাবোধ করেন।

তিনি বলেন, এরপর হঠাৎ ১৫ই ফেব্রুয়ারি আমি গণমাধ্যমে নির্বাচনী তফসিল দেখতে পাই এবং ১৬ তারিখ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে দেখা করতে যাই তিনি তখন স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় তার সাথে আমার দেখা হয়নি তো ওনার পাশের কক্ষটি ছিল ভারপ্রাপ্ত সরকারি শিক্ষক বিনোদ স্যারের আমি সেই কক্ষে ঢুকে দেখতে পাই সেখানে স্যার নেই বরং দুইজন লোক উনার পক্ষে বিভিন্ন কাগজপত্র এবং ভোটার যে লিস্ট তা নিয়ে ভোটারদের ফোন দিচ্ছে। আমি সাথে সাথে আমার মোবাইল বের করে তাদের ভিডিও নেই সেই মুহূর্তে আমার সাথে তাদের এক প্রকার বাক বিতঙ্গ সৃষ্টি হয় এরপর তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এদের মধ্যে একজন ছিলেন জানে আলম জানু স্কুলের তার একটি মেয়ে পড়াশোনা করে এবার এসএসসি পরীক্ষা ক্যান্ডিডেট এবং তার বিরুদ্ধে একটি স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করায় মামলা রয়েছে। এবং অপরজন ছিলেন মাসুদ যিনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা সদস্য হিসেবে আছেন এবং আওয়ামী লীগের মেয়র আইবীর মামা। তিনি নিজেও একজন আওয়ামী লীগের দোসর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার ছবি দেখা যায়। বিষয়টি যখন আমি বিনোদ স্যারকে জিজ্ঞেস করি তিনি তখন উত্তর দিতে পারেন না আমার কথা হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের রুমে ঢুকে কিভাবে তারা নির্বাচনী কাগজপত্র নিয়ে এইভাবে নাড়াচাড়া করেন।

তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা যে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। তার ভাই তাকে ফোন দিয়ে বলেছেন তার সাথে দেখা করে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য তিনি সেই উদ্দেশ্যে রেবেকার বাসায় যান এবং তিনি বাসায় না থাকায় সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই চলে আসেন তার সাথে সাক্ষাৎ হয়নি। তাকে কোন হুমকি দেওয়া হয়নি বা তার সাথে কোন ধরনের খারাপ ব্যবহার বা তার বাসার কাউকে কোন ধরনের খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। হুমকি দেয়াযর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াত।

তিনি আরো বলেন বিগত সময় গুলোতে স্বৈরাচার সরকার আমলে আওয়ামী লীগের দোসোররা যেভাবে বিভিন্ন কলাকৌশলে বাংলাদেশ অর্থসম্পদ লুটেপুটে খেয়েছেন এখনো ঠিক সেই ভাবেই তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিএনপি পরিবারের লোক আমাদেরকে তারা এখনো দমিয়ে রাখতে চায়। তারা আমাকে সমাজের পাশে দাঁড়াতে এবং সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ করতে বাধা দেয়। তাই আমি সকলের কাছে বলতে চাই আপনারা বিষয়টি দেখবেন এবং যারা বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের দোসর ছিল তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।