সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে বিএনপির তিন নেতার মধ্যে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের জনপ্রিয়তাই সবচেয়ে বেশি সেটাই প্রমাণ দিলেন তিনি। ১৮ মে শনিবার রূপগঞ্জের রুপসী খন্দকার বাড়িতে তৈমূর আলম খন্দকারের আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ দেখা গেল। শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয় তৈমূর আলমের আয়োজনে দলমত নির্বিশেষে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গরাও উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমাদের এখন একটাই দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। রাজপথ থেকে কখনও আমরা হারিয়ে যাবো না। আমরা রাজপথে আন্দোলন করেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।
তিনি রূপগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন পাইনি। অনেকেই মনে করতে পারেন আমি রূপগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাবো। কিন্তু না। আমি রূপগঞ্জবাসীর পাশে ছিলাম এবং আছি। আমরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি রূপগঞ্জবাসীর পাশে থাকবো। রূপগঞ্জে অসহায় নিরীহ মানুষের জমি দখলবাজদের বিরুদ্ধে আপনাদের নিয়ে আমি একাই লড়াই করছি এবং করব।’
জানাগেছে, বরাবরেই মতই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে তৃন্যমুল নেতাকর্মীদের যোগাযোগটা বেশি। এখানে আরও দুজন বিএনপির নেতা থাকলেও তারা নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনীতি করেন। নির্বাচন আসলেই তাদের রাজনীতিতে দেখা যায়। জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান এর আগে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু কাজী মনির কখনই রাজপথের আন্দোলনে সংগ্রামে সক্রিয় তেমন একটা ছিলেন না।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ আসন থেকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পান তৈমূর আলম খন্দকার ও কাজী মনির সহ কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়াও। কিন্তু চূড়ান্ত মনোনয়ন পান কাজী মনির। ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেলেও কাজী মনির নির্বাচনে মাঠেই নামতে পারেননি। জনসম্পৃক্ততা তার কম থাকায় নির্বাচনে তিনি দাড়াতেই পারেননি।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গেলেও তার মুক্তির দাবিতে দু একটি কর্মসূচিতে কাজী মনিরকে দেখা গেলেও দিপু ভূঁইয়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোন কর্মসূচিতেই ছিলেন না। কেউ কেউ জানিয়েছেন দিপু ভূঁইয়া আর রাজনীতিতে থাকবেন না। তিনি তার ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন। কারন তিনি বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর কেন্দ্র ঘোষিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে ছিলেন না। জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান। এটাই ছিল তার সর্বশেষ রাজনীতির কর্মকান্ড।
আবার বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন-কাজী মনির জেলা বিএনপির সভাপতি হলেও তিনি মাঠের রাজনীতিতে আগেও ছিলেন না। এখনও নেই। তিনি একজন শিল্পপতি। তার ব্যবসা নিয়েই তিনি ব্যস্ত। তবে তৈমূর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির সভাপতি পদে না থাকলেও তিনি শহর কেন্দ্রীক বিভিন্ন কর্মকান্ডে শোডাউন দিয়ে যাচ্ছেন। নেত্রীর মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সভা সমাবেশ নিজ উদ্যোগেও করছেন। আবার জেলার অন্যান্য থানা এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে রূপগঞ্জের কাজী মনির ও দিপু ভূঁইয়ার কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের অস্তিত্ব দেখা যায়নি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে দুএকবার কাজী মনিরকে দেখা গেলেও দিপু ভূঁইয়াকে কখনই জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। তারা দুজন এখন রূপগঞ্জের রাজনীতিতে অস্তিত্বহীন বলে নেতাকর্মীদের দাবি।