দুলালের দাবি সাখাওয়াত-টিপু ব্যর্থ, চাইলেন মুকুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার!

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খানকে ব্যর্থ নেতৃত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মহানগর বিএনপির সদস্য ও বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান দুলাল। একই সঙ্গে তিনি বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পর হাবিবুর রহমান দুলাল সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমানে দুলাল তাদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে তাদের নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা করছেন। ১১ এপ্রিল শনিবার বন্দরের এক অনুষ্ঠানে হাবিবুর রহমান দুলাল বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, “আমার পরিবার শহীদ জিয়ার আদর্শে রাজনীতি করে। ব্যক্তির নয়, আমরা দলের রাজনীতি করি। অথচ সঠিক নেতৃত্বের অভাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি এখন বিভক্ত হয়ে পড়েছে।”

তিনি মহানগর বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি, যার ফলে সংগঠন ৬টি গ্রুপে ভাগ হয়ে গেছে।

উক্ত নেতাদের ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দুলাল বলেন, নারায়ণগঞ্জে যারা চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জনগণ ও নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।”

একইসাথে তিনি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “নিরীহ মুসলমানদের ওপর চলমান বর্বরতা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা ও থানা বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একইসাথে অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় বন্দরের ২৩নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কবিলের মোড় এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রুমেলের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সদস্য ও বন্দর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম রিপন।

সভায় বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, মেজবা উদ্দিন স্বপন, সদর থানা বিএনপির বিদ্রোহী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী রাশেদ আহমেদ টিটু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শহীদ মেম্বার, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মেম্বার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কাবিল হোসেন, বন্দর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম, মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রাসেল, প্রচার সম্পাদক আলী আকবর, বশির আহমেদ, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জাব্বার পাঠান, মো. শাহীন, বন্দর থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাসসির রহমান আপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য স্বজন, মানিক, ২৩ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সদস্য নির্জন, বিএনপি নেতা মো. আক্তার হোসেন, সাবেক যুবদল সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, তৌহিদ, মহিবর, কালাম, জাকির, দেলোয়ার, আসাদ, ডালিম, হাসান মেম্বার, আনিছ, হিরন বাদশা, ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক, জনি, বাহাউদ্দিন, শাহজাহান, সফিকুল, জাহাঙ্গীর, আমান, আলী হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, সাফি, মোরশেদ আলম, মাসুদ, কাইয়ুম, সুলতান, পাভেল ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।