সান নারায়ণগঞ্জ
প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য দিলশাদ আফরিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১১ এপ্রিল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিনের আদালত শুনানি শেষে তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. কামরুল হোসেন তাঁকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান। শুনানি শেষে আদালত জামিন না মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে দিলশাদ আফরিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের লিগ্যাল অফিসার ফাতেমা আফরিন পায়েল বৃহস্পতিবার রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ফাউন্ডেশনের অর্থ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বুলবুল সিকদার ও রকিবুল সিকদার নামের দুজন ব্যক্তি ‘জুলাই বিপ্লবে আহত’ হিসেবে ক্ষতিপূরণের আবেদন করলে তাদের কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হয়। ২১ মার্চ ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তারা আসলে আন্দোলনে আহত না হয়েও দিলশাদ আফরিনের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে চিকিৎসার কাগজ সত্যায়িত করান। এরপর গুরুতর আহতদের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে আরও ৫০ হাজার এবং সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিতে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এছাড়া জুলাই বিপ্লবে শহীদ আহসান কবির শরিফের স্ত্রী হাদিসা আক্তার হ্যাপিকে আড়াই লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন দিলশাদ আফরিন। আরও কয়েকজনের কাছ থেকেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল তাঁকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।