দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ তার মনোনয়ন বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ আগে তার মনোনয়ন দাখিলে তার মামলা সংক্রান্ত তথ্য না থাকায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।
৭ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে তার আপিলের শুনানি শেষে অধ্যাপক মামুন মাহামুদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
গত ২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
একই দিন রিটার্নিং অফিসার এখানে ১৬ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কাউসার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মামুন মাহামুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও মামুন মাহামুদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বৈধ ঘোষণার পর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচনে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন। এ আসনে বিএনপির দুই মনোনিত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহআলম ও মামুন মাহামুদের মধ্যে একজনকে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা করেনি বিএনপি।