সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের বাড়ি সহ তিন বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। ৩০ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃদ্ধাসহ ৫জনকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও একটি রড সিমেন্টের দোকানে হামলা চালিয়ে ম্যানেজারকে মারধর করা হয। ঘটনার সময় বাড়ি থেকে স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠে।
আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় বুধবার রাতে বখাটে মোমেন, আমির হোসেন, বাপ্পি, বাদশা ও রুবেল রাত তিনটার দিকে উচ্চ শব্দে মটরবাইক চালিয়ে এসে এলাকায় আড্ডা দেয়। বুধরাত তিনটার দিকে তার বাড়ির সামনে আড্ডা দেওয়ার সময় মোমেনকে বাঁধা দেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বখাটে মোমেনের নেতৃত্বে ২০-২৫জনের একটি দল তার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় মুজিবুর রহমানের বাড়ি, তার ভাই জহিরুল ইসলাম জহিরের বাড়ি ও পাশ্ববর্তী মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে।
এসময় হামলাকারীরা মোহাম্মদ আলীর বাড়ি থেকে ৫ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৬০হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হামলার সময় শ্রমিক দল নেতার মা গোলেছা বেগম (৫৭), ভাই জহিরুল ইসলাম ও ম্যানেজার রাজুকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বখাটেরা বাড়িঘর ভাংচুরের পর জহিরুল ইসলাম জহিরের রড সিমেন্টের দোকানে হামলা করে।
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু বলেন, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। মোমেন একজন পুলিশের চিহ্নিত সোর্স। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।