সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করার জন্য পবিত্র ইদুল ফিতরের দিন রাস্তায় থাকবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। মুুলত নারায়ণগঞ্জের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও মানুষ যাতে নির্বিঘেœ ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য অনেক আগেই জেলা পুলিশের সকল সদস্যদের ঈদ ছুটি বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন। ৩ জুন সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংএ পুলিশ সুপার জানান, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে তিনি ঈদের দিন রাস্তায় থাকবেন।
এর আগে পবিত্র ইদুল ফিতর নামাজের জামাতে মুসল্লিদের শুধুমাত্র জায়নামাজ নিয়ে ঈদগাতে আসতে অনুুরোধ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
৩ জুন সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি এই অনুরোধ জানান পুলিশ সুপার।
এরপর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা, সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও বন্দর থানাধীন এলাকায় আসন্ন ঈদ উল ফিতর এর যে সকল বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সেইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঈদগাহ পরিদর্শন করেন।
এর আগে সোমবার সকালে পুলিশ সুপার প্রথমে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও ঈদ জামাতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ক পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি মিটিং করেন। উক্ত মিটিংএ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সহ জেলা বিশেষ শাখা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
মিটিং শেষে পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যে ঈদ জামাতগুলো হবে সেগুলোর দিকে আমাদের তীক্ষè নজরদারী রয়েছে। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য ঈদের বড় জামাত যা চাষাড়ার কাছে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ও স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আমরা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। বিশেষ করে মন্ত্রী রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া মাঠে এবং নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য এমপিগণ যে সকল ঈদ জামাতে নামাজ পরবেন সে সকল জামাতগুলিতেও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এসপি আরও বলেন, ঈদ জামাতের প্রবেশ পথে আরচওয়ে গেট স্থাপন করা হয়েছে। মেটাল ডিরেক্টর দিয়ে তল্লাশী করা হবে। এ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ পাঞ্জাবি, পায়জামা পড়ে ঈদ জামাতে অবস্থান নিবে। জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশও অবস্থান নিবে। আশপাশের বড় বড় বিল্ডিং এর ছাদেও পুলিশ অবস্থান নিবে। আশে পাশের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের অভিযান চলবে। এ ছাড়াও ঈদ জামাতের পাশে আমাদের পুলিশ কন্টোল রুম থাকবে এবং বিভিন্ন রাস্তায় মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশি চৌকি থাকবে।
তিনি বলেন, আমি সম্মানিত নারায়ণগঞ্জবাসীকে অনুরোধ করব ঈদের নামাজে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না নিয়ে আসেন। নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদেরকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করব। নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল ঈদ জামাতের নিরাপত্তার জন্য ৩০০ পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
মতবিনিময় শেষে পুলিশ সুপার সকল ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন জামতলা এলাকার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ও স্টেডিয়াম মাঠ পরিদর্শন করেন। এর পরে সদর মডেল থানাধীন জিম খানা ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন এবং রাসেল পার্ক হয়ে সর্ব শেষে খানপুর ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার সকল ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের এবং সকল নারায়ণগঞ্জবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করার জন্য এবং সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপার ঈদের দিনেও রাস্তায় থাকবেন।
