সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলার বারদী এলাকায় ১১ জুন মঙ্গলবার সকালে ফারজানা আক্তার নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মুত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিশরীপাড়া গ্রামে ফারজানা নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা করেছেন এমন সংবাদ দেন ফারজানার পরিবারের লোকজনকে বারদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য দাইয়ান।
নিহতের পরিবার সোনারগাঁ থানা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেনকে সাথে নিয়ে ওই গ্রামে গেলে ফারজানার লাশ ঘরে পরে থাকতে দেখা যায়। তখন সুজনের বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান। তখন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য দাইয়ানের নির্দেশে উল্টো পুলিশের সামনেই ফারজানার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে ৬ জনকে মারাত্মক আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে।
আহতরা হলেন- ফারজানার ভাই আলামিন, মো: মোক্তার হোসেন তার স্ত্রী আকলিমা, মো: শহিদ, আলমগীর, রতন আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হয়েছে। এ ব্যপারে দাইয়ান মেম্বাররের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন।
ফারজানার ভাই বড় ভাই ও মা বানেছা বেগম জানান, পাঁচ বছর পুর্বে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিশরীপাড়া গ্রামের আঃ সাত্তারের ছেলে সুজনের সাথে মেঘনা উপজেলার চালিভাংগা পুরানগাঁও গ্রামের বাচ্চুর মিয়ার মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ হয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ফারজানার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল। নিহতের বাবা মা ৫লাখ টাকা যৌতুকও দেয়। এর পরেও সুজন ফারজানকে নির্যাতন শুরু করে এবং আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পরে ফারজানার বাবা মা জমি বিক্রি করে এক বছর আগে সুজনকে দুবাই পাঠানোর পরে তিন মাস না যেতেই ফারজানার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।