সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাসের হেলপার চালাচ্ছিল বাস। চালক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টায় করছিল ধস্তাধস্তি। এমন সময় বাসটি যাচ্ছিল সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্পনগরী এলাকা দিয়ে। সেখানে বাসের উপেক্ষায় বাসায় যেতে দাড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বাসটি থামাতে বললে বাসটি আরও দ্রুত গতিতে চলে যাওয়ার সময় বাসের ভিতর থেকে কিশোরীর কন্ঠে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পান ব্যবসায়ীরা। তখন ব্যবসায়ীরা দৌড়ে গিয়ে বাসের সামনে দাড়িয়ে বাসটি থামায়। বাসের ভিতরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল বাস চালক। ব্যবসায়ীরা বাস চালককে দেন গণধোলাই। প্রাণপণে পালিয়ে যায় হেলপার। এভাবেই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বদেশ পরিবহনের বাসের চালকের ধর্ষণ থেকে রক্ষা পেয়েছে এক কিশোরী।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে সোনারগাঁও থেকে ঢাকায় চলাচলরত স্বদেশ পরিবহনের বাসের চালক। এ ঘটনায় ওই বাসের চালককে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ১০ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নিউটাউন এলাকায় স্বদেশ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় জনগণ ও পুলিশের তাৎক্ষনিক ভূমিকায় গাড়ী চালক, ধর্ষণের চেষ্টাকারী মূল আসামি শামিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে উত্তেজিত জনতা আসামিকে গণধোলাই দেয়।
পুলিশ বাসটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। মেয়েটি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালুয়ারকান্দি গ্রামে বসবাস করে।
ওইদিন মেঘনা নিউটাউন শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১১-৭২৬৫) দেখে থামাতে বললে গাড়িটি আরো দ্রুতবেগে চালানো হয়।
তখন তারা বাস থেকে এক কিশোরীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পান ব্যবসায়ীরা। পরে জনগণ পুলিশকে সংবাদ দেয় এবং ঘটনাস্থলে টহলরত পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ গাড়িট থামিয়ে দেখতে পায় হেলপার গাড়ি চালাচ্ছে এবং চালক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। তখন জনতা কিশোরীকে উদ্ধার করে চালককে গণধোলাই দেয়। এসময় কৌশলে হেলপার পালিয়ে যায়। হেলপারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।