কথা বলার পরিবেশ নাই: খোকন, কর্মসূচি সমাপ্তি করা হলো: টিটু!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সাবেক এক বিচারপতির কটুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল। এই কর্মসূচি পালনের নামে মাত্র ৩ মিনিট ২৭ সেকেন্ড ফটোসেশন করেই তাদের কর্মসূচি শেষ করে। যেখানে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে কোন শ্লোগান কিংবা বক্তব্যও রাখেননি জেলা যুবদলের একজন কর্মীও। সকলের মুখেই শ্লোগান ছিল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশেও সভাপতি ও সেক্রেটারি তার বক্তব্যে এর কোন প্রতিবাদ শোনা গেল না। যেখানে জেলা যুবদলের সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকন বলেছেন, কথা বলার পরিবেশ নাই এবং সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, কর্মসূটি সমাপ্তি করা হলো।

প্রতিবাদ সভায় জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এই প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন থানা থেকে আগত নেতাকর্মীদের আসসালামুআলাইকুম। আমি আমার বক্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না। আপনারা সবাই অবগত আছেন আজকে আমরা মিছিল মিটিং কোন কিছুই করতে পারিনা। এই সরকারের নির্যাতনে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন যাবত জেলখানায় বেগম খালেদা জিয়া। আমরা আগামীতে জেলা যুবদলের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। এই বলে আজকে কর্মসূচি শেষ করছি। কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো।’

এর আগে জেলা যুবদলের সেক্রটারি গোলাম ফারুক খোকন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির লক্ষ্যে জেলা যুবদলের আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় সকলকে সংগ্রামী রক্তিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজকে এখানে কথা বলার মত কোন পরিবেশ নেই। মিছিল মিটিং করার মত পরিবেশ বাংলাদেশ নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে আন্দোলন গড়ে তুলবো।

জানাগেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দীন মানিকের একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সারাদেশে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। কেন্দ্র ঘোষিত এই বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল। তবে তারা মাত্র ৩ মিনিট ২৭ সেকেন্ড তাদের এই কর্মসূচি শেষ করেন। তার মধ্যে দেড় মিনিট বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকন।

এই কর্মসূচিতে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুবদলের কমিটি থাকলেও অংশগ্রহণ করেছে মাত্র অর্ধশত পদবহনকারী ও পদবিহীন নেতাকর্মী। এর আগে ফটোসেশন করতে নেতারা নিজেদের মধ্যে করেছেন ধস্তাধস্তি। কয়েকজন নেতাকর্মী ছিলেন সেলফি ও ফটোসেশনে ব্যস্ত। নামকাওয়াস্তে ফটোসেশন করেই তাদের কর্মসূচি শেষ করেন। তবে আশ্চর্য্যরে বিষয় হলো এই কর্মসূচিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে কোন শ্লোগানও হয়নি এমনকি বক্তব্যও রাখা হয়নি। শ্লোগানে এবং বক্তব্যে নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিই করেছেন।

১৫ জুন শনিবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালুর মাঠ গলি থেকে অর্ধশত নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকন। ওই সময় মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে নিজেদের মুখ দেখাতে ব্যানারের সামনে দাড়াতে যুবদলের নেতারা রীতিমত ধস্তাধস্তি শুরু করেন।

এসময় মিছিলে মাত্র উপস্থিতি দেখা যায় অর্ধশত যুবদলের নেতাকর্মী। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে মোট নেতা ২০১ জন। মিছিলটি নিয়ে শহরের হক প্লাজার সামনে গিয়ে মাত্র দেড় মিনিট সময় জেলা যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি বক্তব্য রেখে কর্মসূচি শেষ করেন। মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ ও কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নেতারা শ্লোগান দেন।

এই কর্মসূচিতে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেলা রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন, শামীম ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি আফজাল কবির, স্বপন চৌধুরী, শাহিন আহমেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ দিপু, দেলোয়ার হোসেন শাহ, সোনারগাঁও থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে ইয়াসিন নোবেল, সোনারগাঁও থানা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী আশরাফ প্রধান, সেক্রেটারি প্রার্থী আশরাফ ভূঁইয়া সহ অন্যান্য নেতারা।

(বি:দ্র: কর্মসূচির ভিডিওতে নেতাদের শ্লোগান এবং বক্তব্য সংরক্ষিত)