সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
১৮ জুন মঙ্গলবার বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তেমন একটা ঢাকঢোল না বাঁজলেও শুরু থেকেই সমঝোতা আর ম্যানেজ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি। তবে নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে এসে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় এসেছে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি। এই সমঝোতায় বিএনপি থেকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তারকেই ছাড় দিয়েছে আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টি।
ফলে এবার বন্দর উপজেলা পরিষদের নেতৃত্বে থাকছেন চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার। রশিদ ও সানুর বিষয়টি প্রকাশ্যে সমঝোতায় এসে জয়ের পথ সুগম করে দিলেই মাহমুদা আক্তারকে ভোটের মাধ্যমেই জয়ের দিকে নেয়ার সমঝোতা হয়েছে দল তিনটির। যেখানে সব দলের ভোট যাবে মাহমুদা আক্তারের বাক্সে।
জানাগেছে, নির্বাচনের শুরুতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পান এমএ রশিদ। তার পর থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। আগেই আলোচনা ছিল নৌকা প্রতীকে ওসমান বিরোধী আবু সুফিয়ান নৌকা প্রতীক পেলে মুকুল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এমএ রশিদ। মুকুল বিশেষ ছাড় দেন এমএ রশিদকে।
এরপর শুরু হয় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সমঝোতা। প্রথম দফায় ব্যর্থ হলেও মনোনয়ন দাখিল ও যাচাই বাছাই এবং প্রতীক বরাদ্ধের পর ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাকি তিন প্রার্থী আক্তারুজ্জামান, সাইদুল ইসলাম জুয়েল, হাফেজ পারভেজ নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানুকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে কোন প্রচারণায়ই নামেননি। নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনে সানুর পক্ষেই গণসংযোগ করেন প্রার্থীরা।
কিন্তু নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রথমে সালিমা হোসেন শান্তার পক্ষে অবস্থান নেন এমএ রশিদ। তাকে আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টি বিজয়ী করতে চায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায়। কিন্তু অপর দুই নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদা আক্তার ও নুরুন্নাহার সন্ধ্যা মেনে নেয়নি। তারা ভোটের লড়াইয়ে হার জিত মেনে নিতে চান। ফলে এই পদেই লড়াই হবে ১৮ জুন মঙ্গলবার।
যদিও এমন প্রক্রিয়াতে আতাউর রহমান মুকুল দাবি করেন- যদি আওয়ামীলীগ থেকে চেয়ারম্যান, জাতীয়পার্টি থেকে ভাইস চেয়ারম্যান সমঝোতায় পাশ করানো হয় তাহলে নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি থেকে রাখা হোক। প্রথম দফায় ওই বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। নির্বাচনের শেষ দিকে তিন দল থেকে তিনজনকে রাখার পক্ষে সমঝোতা করেছে তিনটি দল। যেখানে আওয়ামীলীগ বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ভোট নিয়েই জয়ের মালা পড়তে যাচ্ছেন মাহমুদা আক্তার।