অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে: এসপি হারুন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে ৫ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর জেলা পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন পুলিশ সুপার।

জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ জুন সোনারগাঁ থানায় দায়েরকৃত একটি ডাকাতি মামলায় ওই ডাকাত দলের ৫ সদস্য ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। যার মামলা নং-৩৬, তারিখ-১৫/০৬/২০১৯ইং।

আরও জানায় গত ১৫ জুন রাত অনুমান ২টায় সোনারগাঁয়ের ভিটিকান্দি এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মনজুর হোসেনের বিল্ডিংয়ের শ্রীলের দরজার তালা কেটে মূল বিল্ডিংয়ের ভিতর ডাকাত দল প্রবেশ করে বাদীর স্ত্রীর হাত মুখ বেধে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট লুণ্ঠন করে। বাদীর বড় ভাই নায়েব আলীর বিল্ডিংয়ের গেটের তালা ভেঙ্গে বিল্ডিংয়ের ভিতরে প্রবেশ করে স্টীলের লকার ভেঙ্গে ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুণ্ঠ করে নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, তথ্য প্রযুক্তি সূত্র ধরে উক্ত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত মূল হোতা সহ ডাকাত দলের সদস্য মোঃ আবু সাঈদ ভূইয়া, জাকির হোসেন, ইদ্রিস, জুয়েল ও মঙ্গল দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডাকাত দলের সদস্য আবু সাঈদ ভূঁইয়া জেলার আড়াইহাজার উপজেলার জোকারিয়া ভূঁইয়াপাড়া এলাকার নাজিম উদ্দীনের ছেলে, জাকির হোসেন সোনারগাঁও উপজেলার রাজাপুর এলাকার আমানউল্লাহর ছেলে, ইদ্রিস ঝালকাঠি জেলার ১নং গাবারাম চন্দ্রপুর এলাকার মৃত জাফর আলীর ছেলে, জুয়েল সোনারগাঁও উপজেলার কাচপুর সোনাপুর বটতলা এলাবার আবু সিদ্দিকের ছেলে ও মঙ্গল দাস সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ব্যাঙ্গাই মাধীর পুকুরপাড় এলাকার অধীর দাসের ছেলে।

পুলিশ আরও জানায়, ডাকাত দলের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি চায়না চাপাতি, তালা কাটার, ৩টি দরজা ভাংগার কাউয়াল, ৫টি ফলা, ১টি মোবাইল সেট, স্বর্ণ বিক্রয়ের নগদ ১৬ হাজার ৫’শ টাকা এবং ৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।