সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার আল-আমিন আবাসিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও মামলার বাদী সুজন করিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে মসজিদ কমিটি।
২৮ জুন শুক্রবার বাদ জুম্মা আমিন আবাসিক এলাকা জনকল্যাণ সমিতি কার্যালয়ে মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম সরকারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সাবেক কমিটির কতিপয় কয়েকজন কুচত্রি ব্যক্তি মাদক, বিক্রেতা, সেবনকারী ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বর্তমান মসজিদ কমিটির সুনাম ক্ষুন্ন করতে মাদকসেবী ও সুদখোর সুজন করিমকে দিয়ে সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমিন আবাসিক এলাকার সকল বাড়ির মালিকগণ এসপির নিকট স্মারক লিপি প্রদানের ঘোষণা দেন।
মামলার বাদী সুজন করিমের বন্ধু হুমায়ুন প্রতিবাদ সভায় বলেন, হাসিবের সাথে সুজন করিমের বিরোধ ছিল। কথা কাটাকাটির সময় হাসিব সুজন করিমকে চড় মারে। এতে মামলা করতে চায় সুজন করিম। তার বন্ধুরা ও বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ মীমাংসা করে দেন। মামলা করতে নিষেধ করায় সুজন করিম বলে আমি মইরা সবাইকে ফাসাঁমু বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। পরে সেই স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করে নেয়। মামলায় মসজিদ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক ও তার শিশু পুত্রকে আসামী করা হলেও তারা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না ও জানেন না বলে সভায় দাবি করেন হুমায়ুন।
খান মাসুদের বিচার না মেনে সুজন করিম গত বুধবার দুপুর ১টায় বাসায় ফিরে ৪০টি ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করে। খবর পেয়ে তার বন্ধু হুমায়ুন ও স্বজনরা আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, আমিন আবাসিক এলাকায় শান্তি বিনষ্ট করে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি কোন মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী ও শেল্টার দাতাদেরকে থাকতে দেয়া হবেনা। এজন্য আমরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করবো।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি আশু খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ মিল্টন, আলফাজ আলী, আবু মুছা, কবির হোসেন, আলমগীর হোসেন, ইউসুফ আলী, মোঃ মিলন মিয়া, হান্নান খান সহ বিভিন্ন বাড়ির মালিকগণ। প্রতিবাদ সভা শেষে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও বাড়ির মালিকগণ বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জের সাথে সাক্ষাৎ করেন।