সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদের দায়ের করা একটি মামলায় ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আবু নকীবের দাবি করা কথিত ৪নম্বর স্ত্রী রাফিয়া ফেরদৌস তুলিকে অসুস্থ্যতা দেখিয়ে আদালতে সময় আবেদন করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
১ জুলাই সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী তার মক্কেল গর্ভবতী হিসেবে দাবি করে তাকে অসুুস্থ্যতা দেখিয়ে মামলায় সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তীতে তারিখে আসামিকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।
জানাগেছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন জাসমিন আহমেদ। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় তার স্বামী আবু নকীবের ৪নম্বর স্ত্রী দাবি করা রাফিয়া ফেরদৌস তুলিকে।
মামলায় দাবি করা হয়- গত ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোনে বিবাদী তুলি বাদীর কাছে দাবি করেন আবু নকীব তার স্বামী। এই আবু নকীব হলেন অ্যাডভোকেট জামসিন আহমেদের স্বামী। আবু নকীবকে নিজের স্বামী দাবি করে জাসমিন আহমেদকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে স্বামী আবু নকীবের তৎকালীন কর্মস্থল র্যাব-৪ এর ক্যাম্পের কমান্ডার, ঢাকার মালিবাগ এসবি পলিটিকেল জিআইজি ও পুলিশ পরিদর্শকের কাছে আবু নকীব ওই তুলি তার স্ত্রী নয় বলে দাবি করেন।
এ ছাড়াও ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশকে তদন্ত করতে দায়িত্ব দেন। ডিবি পুলিশ মোবাইল ফোনের ওই নারী তুলির পরিচয় সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে আবারো বাদীকে ওই কথিত স্ত্রী প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে আদালতে জাসমিন আহমেদ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধার্য্য তারিখে আসামি উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। এর আগে এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন ওই নারী।
এ বিষয়ে সোমবার আদালতে বাদী জাসমিন আহমেদ আসামির জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আসামি গর্ভবতী হওয়ায় শারীরিক অসুস্থ্যতা দাবি করায় আদালত তার সময় আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে জাসমিন আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে বলেন, সকালে আদালতে আসামির স্বাক্ষর ছাড়া আবেদনে আসামিকে গর্ভবতী দাবি করে শারীরিক অসুস্থ্যতা দিয়ে সময় আবেদন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আসামির স্বাক্ষর সহ আবেদন করে সময় আবেদন করেন। সেটা মঞ্জুরও হয়। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো কিভাবে একইদিন এত অল্প সময়ের মধ্যে আসামির স্বাক্ষর নিয়ে সময় আবেদন করা হলো? আবেদনে আসামির স্বাক্ষরটি যাচাই করা উচিত বলে আমি মনে করি।