দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
গত ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া থেকে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত সাখাওয়াতকে কারাগারে পাঠান।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই আইনজীবী গত ৫ নভেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করে আসছিলেন। কারাগারে থেকে তার পক্ষ থেকে মনোনয়ন পত্রও সংগ্রহ করেছিলেন তার নেতাকর্মীরা। কিন্তু এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনিত করা হয় নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে। গত সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করে মেয়র আইভীর কাছে পরাজিত হন সাখাওয়াত হোসেন খান।
ওই মামলায় ১১ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হলে নারায়ণগঞ্জ কারাগারের গেটের সামনে আবারো সাখাওয়াত হোসেন খানকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। তারপর ফতুল্লা থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
এর আগে তাকে সদর মডেল থানার মামলায় রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। ফতুল্লা মডেল থানার মামলায় সাখাওয়াতকে কারাগারে পাঠানো হলে সপ্তাহখানিক পর তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
১০ ডিসেম্বর সোমবার সাখাওয়াত হোসেন খানকে দেখতে চান বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ। শাহিন আহমেদ দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকমকে জানান, সাখাওয়াত হোসেন খান মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়ী করার জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তার নেতাকর্মীদের। সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে মুক্ত হবে গণতন্ত্র।’