আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার বিএনপির কর্ণধার প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুকে শ্রদ্ধাভরে এখনও স্মরণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। যার হাত ধরে বেশকবার এমপি হয়েছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে এনে বিএনপির মনোনয়ন এনে দেন খসরু। বিতর্কিত কর্ম পথ এনে আড়াইহাজার বিএনপির সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব দেন হাবিবুর রহমান হাবুকে। এ রকম বহু কর্ম করে গেছেন প্রয়াত প্রবীণ বিএনপি নেতা খসরু। যখন আড়াইহাজারে বিএনপির অস্তিত্বই ছিল না তখন আড়াইহাজার বিএনপিকে টেনে এনে শক্তিশালী রূপ দিয়েছিলেন তিনি।
তাই খসরুর অবদান আজো ভুলে যায়নি আড়াইহাজার বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাই এখনও তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার শূণ্যস্থান অনুধাবন করছেন নেতাকর্মীরা। শুধু নেতাই ছিলেন না- তিনি ছিলেন একজন অভিভাবক। সেই খসরুর শূণ্যস্থান পূরণে এখন আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের একমাত্র ভরসা আস্থার স্থান মাহমুদুর রহমান সুমন যিনি এমএ বদরুজ্জামান খান খসরুর ছেলে। যার হাতেই আড়াইহাজার বিএনপির রাজনীতিতের ভবিষত। বলা যায় আড়াইহাজারে বিএনপির শক্তিশালী অস্তিত্ব এনে দিয়েছিলেন প্রয়াত এই নেতা।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিন সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শুধু আড়াইহাজার নয় জেলার সকল রাজপথের কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন সক্রিয়। যার ফলে ২০১১ সালের ৫ জুন নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হয়েছিলেন খসরু। ওইদিন তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে খসরুও যখন পুুলিশি লাঠিপেটার মাঝে পড়ে তখন আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীরাও তাকে রক্ষা করে চেং দোলা করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীও যে খসরুকে কতটা ভালবাসতে সেদিনই নেতাকর্মীরা প্রমাণ দিয়েছিলেন। জেলার অনেক কর্মসূচিতে পুুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে ছিলেন অগ্রভাগে। কখনও দৌড়ে পালায়নি খসরু।
রাজপথের সক্রিয়তার ফলে কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। এর আগে তিনি আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্পষ্টভাষী নেতা হলেও নেতাকর্মীদের প্রচন্ডরকম ভালবাসতেন।
সেই প্রয়াত নেতা গত বছরের ১১ জুলাই তার হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। নেতাকর্মীরা আজও ভুলতে পারেননি তাদের প্রিয় নেতা খসরুকে। তারই প্রমাণ মিলে তাদের প্রিয় নেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা দেখেই। আগামী ১১ জুলাই প্রয়াত নেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
প্রয়াত নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুকে স্মরণ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘খসরু সাহেব শুধু একজন নেতাই ছিলেন না। তিনি আমাদের সবার অভিভাবকও ছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের রাজনৈতিক গুরু। আমি তার হাত ধরেই রাজনীতির প্রবেশ করি। তার চলে যাওয়ায় আমরা অনেক ব্যথিত হয়েছি। আমি আমার প্রিয় নেতা এএম বদরুজ্জামান খসরু সাহেবের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন। আমরা চাই আড়াইহাজারে তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো তার সুযোগ্য উত্তরসূরী আড়াইহাজার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন সমাপ্ত করবেন।’
আড়াইহাজার ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক প্রয়াত নেতা খসরুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, ‘প্রকৃতির ডাকে একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। এটাই নিয়তির নীতি কিন্তু কারো কারো চলে যাওয়াটা অপূরণীয় হয়ে থাকে আজীবন। আমি আমার নেতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন তাকে সর্ব্বোচ্চ সম্মানিত স্থানে অধিষ্ঠিত করেন।’
এছাড়াও যুবদল নেতা মালেশিয়া প্রবাসী কালাম, যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা মোল্লা মোহাম্মদ তুষার, টুটুল আহমেদ সহ আড়াইহাজার বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতার্মীরা প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সেই সঙ্গে আড়াইহাজার বাসী সহ দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।