সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের অনুলিপি বিভাগের সেরেস্তাদার কুদ্দুস ভূ্্ঁইয়ার বিরুদ্ধে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১৫০ জন আইনজীবী। ওই সেরেস্তাদারের বিরুদ্ধে ১৫০ জন আইনজীবী স্বাক্ষর দিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে আইনজীবীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের অনুলিপি বিভাগের সেরেস্তাদার হিসেবে কুদ্দুস ভূঁইয়া কর্মরত থেকে নকল সরবরাহে কৃত্রিম দৃঢ় গতি সৃষ্টি করে বিচার প্রার্থী ব্যক্তিদের বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং অনৈতিক অবৈধ অর্থ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে কায়দা ফিকির করে আইনজীবী তৎসহ বিচার প্রার্থী ব্যক্তিদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে আসছে। একই সঙ্গে সর্বদা আইনজীবীদের অসম্মান প্রদর্শন করে হেয় করা তার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে তাকে উক্ত পদ থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান আইনজীবীরা। ১৫০ জন আইনজীবীর পক্ষে এ সকল আইনজীবীদের স্বাক্ষর সহ অভিযোগটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মোজ্জাম্মেল মল্লিক শিপলু।
কুদ্দুস ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ১৫০ জন আইনজীবীর মধ্যে রয়েছেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, সাবেক কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনজুম আহমেদ রিফাত সহ ১৫০ জন আইনজীবী।
এ অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা জেলা জজকে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে অর্থের লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, কারো কারো অনৈতিক দাবি মেনে না নেয়ার কারনেই আমার বিরুদ্ধে অর্থের লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন। অনেক আইনজীবীদের পিটিশনে ভুল থাকে। সেটি কাটা ছেড়া করা যায়না। এ বিষয়টির কারনেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমাকে জজ সাহেব ডেকেছিলেন। আমি সেটা বুঝিয়ে বলেছি।