সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ঢাকা বিভাগীয় রেঞ্জে ৫ম বারের মত শ্রেষ্ঠ এসপি হিসেবে পুরষ্কৃত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই এসপি হারুন অর রশীদ ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের মানুষের আস্থা অর্জণ করেছেন। যে কারনে নারায়ণগঞ্জের মানুষ তাকে বাংলার সিংহাম হিসেবে আখ্যায়িত করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যানার ফ্যাস্টুন লাগিয়েছেন।
জানাগেছে, ১১ জুলাই সাড়ে ১০টায় ঢাকা রেঞ্জের সম্মেলন কক্ষে গত মে ও জুন মাসের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) সভাপতিত্ব করেন। উক্ত সভায় ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে নির্বাচিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)।
মাদক উদ্ধার, মামলার রহস্য উদঘাটন, ওয়ারেন্ট তামিল, হকার উচ্ছেদ, শিল্প এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা সহ নারায়ণগঞ্জ জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে মে ও জুন মাসের পরপর ২ (দুই) বার ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে মনোনীত করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জ জেলায় যোগদানের পর থেকে ডিসেম্বর-জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসের অপরাধ সভায়ও পরপর তিন বার ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ৫ম বারের মত এসপি হারুন দায়িত্ব ক্ষেত্রে ৫ম বারের মত ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার উপাধি লাভ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ঢাকা রেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, মাদক উদ্ধার, মামলার রহস্য উদঘাটন, ওয়ারেন্ট তামিল, হকার উচ্ছেদ, শিল্প এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক হওয়ায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে ৫ম বারের মত এই শ্রেষ্ঠত্বের উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
এখানে আরও উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্টীয় সম্মান হিসেবে ৩ বার বিপিএম ও ২ বার পিপিএম পদক পেয়েছেন। ২০১৮ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণে তিনি প্রশংসনীয় হন। এ অবদানের জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক “বিপিএম” (বাংলাদেশ পুলিশ পদক) ব্যাচ পরিয়ে দেন।
এই নিয়ে পুলিশ সুপার তিনবার বিপিএম পদক এবং দুবার পিপিএম পদকে ভূষিত হন। দায়িত্ব পালনে কঠোর ও নিষ্ঠাবান এই এসপির জীবন বৃত্তান্তে জানা যায়, এসপি হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার হোসেনপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতা- মৃত আবদুল হাসেম, মাতা-জহুরা খাতুন। এসপি হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেন। ২০তম বিসিএস এর মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। স্ত্রী, এক মেয়ে তাসলিম (১০), এক ছেলে হিসামকে (৪) নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) নারায়ণগঞ্জ এসপি হিসেবে যোগ দেন। যোগ দিয়েই তিনি নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কঠোর পদেক্ষেপ নিবেন বলে ঘোষণা দেন। এরপরেই তিনি নারায়ণগঞ্জে দাগী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, তেল চোর, মাদক ব্যবসা নির্মূল, ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তার, জেলায় আলোচিত জুয়ার বোর্ড বন্ধ ও জুয়াড়ীদের গ্রেপ্তার করেছেন, মেরি এন্ডারসনের মদ ব্যবসা বন্ধ, শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়ক সহ আশপাশের সড়কে হকার উচ্ছেদ করেন যা নিকট অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ হিসাবে সর্বমহলে সমাদৃত হয়।
জেলা পুলিশ দাবি করে- এসপি হারুন নারায়ণগঞ্জবাসীর নিকট আস্থা ও শান্তির প্রতীক হিসেবে মনোনীত হয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ দিগু বাবুর বাজারের অধিনে অবৈধ ভাবে মীরজুমলাটি অবৈধ দখলদাররা দখল করে রেখেছিল। এসপি হারুনের নির্দেশে এক রাত্রের মধ্যে পুলিশের অভিযানে দীর্ঘ ৪০ বছর পর নারায়ণগঞ্জবাসী একটি সড়ক পায় সেটি হল ঐতিহাসিক মীরজুমলা সড়ক। যার ফলশ্রুতিতে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন এসপি হারুন। এমনকি নারায়ণগঞ্জের নামকরা প্রভাবশালীর দখল থেকে নীরিহ মানুষের ফ্ল্যাট দখলমুক্ত করেছেন যা নারায়ণগঞ্জে ইতিহাস হয়ে থাকবে, কোটি টাকার চাঁদাবাজি বন্ধ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেছেন। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে সমালোচিত নারায়ণগঞ্জ এখন শান্তির নগরীতে পরিনত হয়েছে।