সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তেল চোর ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই রিমান্ডে ইকবাল হোসেন চৌধুরী এখন ফতুল্লা মডেল থানার জেল হাজতে। চলছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ এর একটি চৌকশ বিশেষ টীম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ফতুল্লার এলাকায় ফতুল্লার সরকারী তেলের ডিপো হতে চোরাইকৃতভাবে অবৈধ তেল চুরি করে চোরের সেন্ডিকেট চক্র ডিজেল তেল বিক্রি করছে। এরপর তারা ফতুল্লা লঞ্চঘাট বালুর মাঠে একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে ১৫ ড্রাম ডিজেল তেল উদ্ধারসহ চোরাই তেলের মূল হোতা ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এসময় ১৫ ড্রামে তিন হাজার লিটার ডিজেল তেল উদ্ধার করে র্যাব-১১। যার মূল্য ১লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। ইকবাল হোসেন চৌধুরী ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি এলাকার কুদরত আলী ওরফে কানু চৌধুরীর ছেলে।
তার সহযোগি পঞ্চবটী হরিহরপাড়া এলাকার মৃত মাওলানা হাবিবুর রহমানের ছেলে তেল চোর জাকির হোসেন পাবেল ওরফে মির্জা পাভেল ও তার সহযোগি কালাম পালিয়ে যায়।
র্যাব-১১ আরো জানায়, এই সেন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে সরকারী তেলের ডিপো হতে তেল চুরি করে চোরাই তেল দেশের বিভিন্ন জেলায় এলাকায় বিক্রি করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ পিপিএম বিপিএম (বার) এর নির্দেশে জেলা ডিবি পুলিশ ইকবাল চৌধুরীর ভাই রুবেল তার সহযোগিসহ তিনজনকে চোরাই তেলসহ গত ১০ ও ১১ মার্চ ইকবাল চৌধুরীর গোডাইন থেকে আট লক্ষ টাকার তেল উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় জেলা ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
এই মামলায় তেল চোর ইকবাল ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করে দেয়। এ নিয়ে জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। একপর্যায় ইকবাল চৌধুরীকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। সেই চোরাই তেলের মামলায় জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আবারও চোরাই তেলের ব্যবসা শুরু করে তেল চোর ইকবাল। এমন সংবাদ পেয়ে র্যাব -১১ এর একটি বিশেষ টীম ইকবাল চৌধুরীকে চোরাই তেলসহ গ্রেপ্তার করেছেন ৯ জুলাই দুপুরে।