সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিপ্লব পুুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ১৬ জুলাই মঙ্গলবার গভীর রাতে চাঁনমারী বস্তি এলাকায় পুুলিশের সঙ্গে ওই মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুুলিশের (ডিআইও-২) সাজ্জাদ রুমন জানান, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হকের নেতৃত্বে ডিবির এসআই কামরুল হাসান, এসআই ওসমান গণি, এসআই শরীফুল ইসলাম, এসআই সিরাজ উদদ্দোল্লাহ, এএসআই জুয়েল রানা, এএসআই সোহেল রানা, এএসআই সোহাগ মিয়া, এএসআই নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল নাদিম সারোয়ার, কনস্টেবল আসাদুজ্জামান মোল্লা, কনস্টেবল বোরহান উদ্দিন, কনস্টেবল মোজাফ্ফর, কনস্টেবল হুমায়ুন কবির, কনস্টেবল সরোয়ার সহ ডিবির একটি টিম সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক দ্রব্য উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে গোপন সূত্রে সংবাদ পায় যে, কতিপয় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ফতুল্লা মডেল থানাধীন চাঁনমারী বস্তিতে অবস্থান করিতেছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা গোয়েন্দা শাখার উক্ত টিমের অফিসার ও ফোর্স রাত সোয়া ২টার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছা মাত্রই অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়, ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাথারীভাবে গুলিবর্ষণ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশ নিজেদের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অতিরিক্ত পুলিশের সহায়তায় সার্চলাইটের আলোতে ঘটনাস্থলে তল্লাশীকালে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং তার বাম পার্শ্বে একটি দেশীয় তৈরী একটি ওয়ান শুটারগাণ অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ আরও জানায়, স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা ব্যক্তিটিকে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিপ্লবকে সনাক্ত করে। সে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার কামরাবাজ এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে চাঁনমারী বস্তিতে থাকতো।
তাৎক্ষণিকভাবে ফতুল্লার থানার সহায়তায় উক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিপ্লব এর পিসিপিআর ও অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায় যে, বিপ্লবের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ফতুল্লা থানাতেই ১৪টি মাদকের মামলা রয়েছে। সে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাভুক্ত। উক্ত ঘটনার সময় ডিবির এসআই ওসমান, এএসআই সোহেল সহ দুই কনস্টেবল আহত হয়েছে।
এদিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সন্ত্রাসী, মাদক, জঙ্গীবাদ, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে উল্লেখিত ঘটনাটি ঘটে। অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় নাই। সে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, মাদকের সাথে কোন আপোষ নাই। মাদকের প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’।