সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর কাইতাখালী এলাকায় ৫’শ টাকা ধার দিয়ে পাওনা চাওয়ায় মিজান শিকদার মিশরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় বন্দর থানার এসআই মাহফুজ রানা ও এএসআই জাকিউল অভিযান চালিয়ে ২২ জুলাই সোমবার রাতে কুশিয়ারা রোডের মাজু মিয়ার বাড়ীর সামনে থেকে অভিযুক্ত ৩জন ও পরদিন মঙ্গলবার সকালে নবীগঞ্জ থেকে আরো ২জনকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত মিজান শিকদার মিশর সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের কাইতাখালী এলাকার মৃত শফিউদ্দিন সিকদারের ছেলে।
এ ব্যাপারে ২৩ জুুলাই মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের বড় ভাই সাঈদ শিকদার সানী বাদী হয়ে অভিযুক্ত ৬জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বন্দর থানার কাইতাখালী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠু, নোয়াদ্দা এলাকার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে মুন্না, কাইতাখালী এলাকার আলী হোসেনের ছেলে জিসান, একই এলাকার শাহআলমের ছেলে সাকিব ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শ্যামল।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বন্দর কাইতাখালী এলাকায় মৃত শফিউদ্দিন সিকদারের ছেলে মিজান শিকদার মিশর গাজীপুর মাল্টি ফ্যক্টরী থেকে চাকুরী ছেড়ে কাইতাখালী নিজ বাড়িতে চলে আসে। মিশর কিছুদিন আগে একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠুকে ৫’শ টাকা ধার দেয়। সোমবার রাতে মিজান শিকদার মিশর কয়েল আনার জন্য কাইতাখালী প্রাইমারী স্কুলের সামনে গেলে মিঠুকে দেখে পাওনা ৫’শ টাকা ফেরত চায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মিঠু ও তার সহযোগী একই এলাকার মুন্না, জিসান, শয়ন, সাকিব, শ্যামল মিলে পূর্ব বিরোধের জেরে মিজান শিকদার মিশরকে গলা ও মাথার বাম পাশে বাটাল ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
এ সময় মিশরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে সংবাদ দিলে আহত মিশরকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, ৫’শ টাকার জন্য এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৬জনের মধ্যে ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।