দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, এরশাদ নয় শেখ হাসিনাকেই প্রধাণমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এরশাদ যদি আমাকে দল থেকে বের করেও দেয় তাহলে আমার কিছু যায় আসে না। আমার হাত মুক্তিযোদ্ধার হাত তাই থাবাটাও মুক্তিযোদ্ধাদের মত কিন্তু আমি প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হলেও আমি ভুলে যাইনি আমি মাছওয়ালা সেলিম ওসমান, আমি ফেরিওয়ালা সেলিম ওসমান। আওয়ামীলীগের সাথে ওসমান পরিবারের কখনো বিভেদ হতে পারেনা। আমার সঙ্গে আওয়ামীলীগের কোন শত্রুতা নাই। আমি কখনোই আওয়ামীলীগের কমেন্ট অমান্য করিনা।
১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দরের সোনাকান্দা সড়কে মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কেউ আছে নৌকা করেন আবার আনারস করেন। পরে আবার ধানের শীষও করেন। এই রকম চিটা ধান নারায়ণগঞ্জবাসী চায় না। এই এলাকার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই তারা উন্নয়ন যে করে তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। আওয়ামীলীগ আমার প্রতি এত রাগ কেন? আমার তো কোন দোষ নাই। দোষ থাকলে আপনাদের সভাপতি রশিদ ও আনোয়ার সাহেবের। তারা তো একবারও আমার কাছে এসে কিছু বলেননি। তাহলে কেন আমার প্রতি এত বিষোধগার। আমি আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ওয়াদা করেছিলাম নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের অত্যাধুনিক অফিস করব। আর সেই অফিসে বসেই আমি আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে উন্নয়ণমুলক কাজ করব। জোহা পরিবার কখনো আওয়ামীলীগের শত্রু নয়। যেখানে আওয়ামীলীগ সেখানেই জোহা পরিবার। আমাকে যে যাই বলুক সাধারণ মানুষের জন্য আমি কাজ করবই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমি কাজ করবই। সর্বোপরি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক সভাপতি আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ, বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ, বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা, এসআই জুয়েল, মহানগর যুব মহিলালীগের নেত্রী নুরুন নাহার সন্ধ্যা, ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক আশাদুজ্জামান খোকন, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সামসুজ্জামান, মশিউর রহমান সুজু, মোকাদ্দেছ আলী আঙ্গুর, আজিজ মিয়া, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান, মোঃ ফারুক, আমজাদ, সেলিম, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ডা.শফিউল্লাহ, এমএ কাইয়ুম, আমানউল্লাহ আমান, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, সালাউদ্দিন ও নাজমুল প্রমূখ।