সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ হোসিয়ারী শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ১২৩৮) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের শ্রমিকলীগ থেকে সরাসরি মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে জাতীয় শ্রমিক লীগের মনোনীত প্রার্থী স্বপন দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক পদে আওলাদ হোসেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এখানে বিএনপির শ্রমিকদল থেকে মনোনিত করা হলেও তাদের কেউ নির্বাচিত হতে পারেননি।
২৯ জুলাই সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারী সমিতির ভবন কমিউনিটি সেন্টারের বিরতিহীনভাবে চলে ভোট প্রদান। নারায়ণগঞ্জ জেলা হোসিয়ারী শ্রমিক ইউনিয়নের শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুটি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত দুই প্রার্থী তাদের পছন্দ অনুযায়ী বাকি ১৫টি পদে প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা করে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যানের শামীম সিদ্দিকী। নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শাহজাহান, শৌলেন মজুমদার, পরেশ ভূইয়া ও রুহুল আমিন সরদার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হোসিয়ারী শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, জাতীয় শ্রমিক পার্টি ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র ৪টি সংগঠনের সভাপতি পদে ৪জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ মোট ৮জন প্রার্থী এই দুটি পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। নির্বাচনে হোসিয়ারী শ্রমিক ইউনিয়নের মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৩’শ ৫৯ জন যেখানে ভোট প্রদান করেন ১ হাজার ২’শ ২৮ জন ভোটার।
তবে নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সকাল বেলায় বিএনপির শ্রমিক দলের নির্বাচনী প্যান্ডেল ভাংচুর করে দেয় সরকারি দলের লোকজন। এতে আহত হয় শ্রমিক দলের এক কর্মী। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এমন খবর পেয়ে নির্বাচনী প্যান্ডেলে আসেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা বিএনপির নেতা সালাউদ্দীন মোল্লা, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, শাহিন আহমেদ, পারভেজ মল্লিক, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম বাবু, রিক্সন খান সহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই শ্রমিকদলের প্যান্ডেলে আসেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। তবে তারা আসার আগেই তাদের নির্বাচনী প্যান্ডেল ভাংচুর করেন এবং সেখানে এক শ্রমিকদল কর্মীকে মারধর করেন সরকারি দলের লোকজন। তবে তারা উপস্থিত হওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত দেখা যায়।
এরপর নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানিও। তিনি সকল প্যান্ডেলে গিয়ে সকলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে কুশল বিনিময় করেন। ওই সময় নির্বাচনী আমেজ দেখা যায়।