সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগের হাশেমনগর এলাকায় রিকশা গ্যারেজ ব্যবসায়ী শাকিলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামি চান্দুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৯ জুলাই সোমবার দুপুরে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চান্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত চান্দু পশ্চিম দেওভোগের হাশেম নগর এলাকার বাসিন্দা।
জানাগেছে, নিহত শাকিল ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ পূর্বনগর এলাকার মৃত আমান উল্লাহর ছেলে। আর শাকিল হত্যায় তার ভাই সাঈদ বাদী হয়ে তুহিন, নিক্সন ও চান্দুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন চান্দুকে গ্রেপ্তারের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মোটরসাইকেলের লাইট চোখে লাগার মতো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শাকিল নামের একজন রিকশা গ্যারেজ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মামলার ৩নং আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য চান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত গত ২৭ জুলাই শনিবার রাত ১১টার দিকে সজিব ও সুভাষ মোটরসাইকেল যোগে শহরের ২নং রেলগেইট এলাকা থেকে বাংলাবাজার বাসায় ফেরার পথে পশ্চিম দেওভোগ হাশেমনগর এলাকায় সন্ত্রাসী তুহিন, নিক্সন, চান্দু ও তাদের বন্ধুরা মুখোশ পড়ে সড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। ওইসময় মোটর সাইকেলের লাইটের আলো দাড়িয়ে থাকা মুখোষধারী সন্ত্রাসীদের চোখে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোটর সাইকেল আরোহীদের গতিরোধ করে তাদেরকে চর থাপ্পর দেয়। এতে তারা সন্ত্রাসীদের প্রতিবাদ করলে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারীভাবে কুপাতে থাকে। তখন সজিব ও সুভাষের চিৎকার শুনে শাকিল সহ অন্যরা ছুটে আসলে সন্ত্রাসীদের কারন জিজ্ঞাসা করলে তাদেরকে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। এতে করে শাকিলকে মুমূর্ষ অবস্থায় প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে শাকিলের মৃত্যু হয়।