দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক গায়েবি মামলা দিয়ে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি আসনেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। ধানের শীষের প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে।
অবিলম্বে এসব মামলা হামলা ও প্রচারে বাধা প্রদান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন তৈমুর আলম খন্দকার। একই সাথে আগামী সংসদ নির্বাচনে মুক্তির প্রতীক ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বর্তমানের সরকার অত্যাচার নির্যাতন গুম খুন ও শিক্ষার্থীদের উপর হেলমেট বাহিনী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে জনগণের রায় দিতে আহবান জানান তৈমুর।
বুধবার ১২ ডিসেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয, দুপুরে উচ্চ আদালত থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, শহর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদ সদর ও ফতুল্লা থানার দুটি নাশকতার মামলা জামিন পাবার পর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৈমূর এসব কথা বলেন।
এর আগে উচ্চ আদালতের বিচারপতি মোঃ আন্দুল হাফেজ ও মহিউদ্দিন শামীমের দ্বৈত বেঞ্চে জামিন শুনানির পর খোরশেদ ও হাসানকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন আদালত। এর মাধ্যমে সকল মামলায় জামিন নিলেন খোরশেদ। মামলায় আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
তৈমুর আলম আরও বলেন, আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানাই। আমি আশা করি তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। নির্বাচনে বিএনপির সকল প্রার্থী ৫টি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে আমি আশা করি। আসুন সবাই দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমে দেশকে রক্ষার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ি। গণতন্ত্রের প্রতীক ধানের শীষের ভোট দেয়ার মাধ্যমেই আমাদের মুক্তি ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ৫টি আসনেই চলমান হামলা মামলা বন্ধে পুলিশ সুপারের কাছে তিনি আবেদন জানান।
অন্য একটি বেঞ্চে মহানগর যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীনের জামিন মঞ্জুর করেছেন উচ্চ আদালত। জয়নাল আবেদীনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। জয়নাল আবেদীন বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন।