দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, আমার কাছে খবর আছে নারায়ণগঞ্জের চারদিকে জঙ্গিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওরা জানে ভোট হলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তাদের প্রার্থী ১০% ভোটও পাবে না। আর আমি জানি আমার সাথে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে কেন? বিএনপির মধ্যে অনেক ভাল লোক আছে। তাদের ভাল লোককে মনোনয়ন না দিয়ে জঙ্গি মতবাদের সখ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী দেয়া হলো? তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। তারা আবার নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি হামলা চালাতে চায়।
এখানে উল্লেখ্যযে, শামীম ওসমানের এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে। একই সঙ্গে বিগত হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর নির্বাচনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামীর সমন্বয়ক ও মহানগর হেফাজতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান।
১২ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লার হরিহরপাড়ায় স্থানীয় যুবলীগের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। পরে এনায়েতনগর বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন তিনি।
শামীম ওসমান আরও বলেন, জঙ্গির বিষয়ে যাদের (আইনশৃংখলা বাহিনী) তৎপর থাকার কথা নারায়ণগঞ্জের সেই আইনশৃংখলা বাহিনীকে তৎপর দেখছি না। আমরা ভিকটিম ১৬ জুনের ভিকটিম। তাই আমরা টের পাই কোথায় কখন কি হচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জে কেউ কেউ জামাতকে নিয়ে জঙ্গি কানেকশনের কাজ করতাছেন। সাবধান, একদম সাবধান। এবার আর ছাড় দেয়া হবে না। সাবধান জনগণের উপর হামলা করার চেষ্টা করবেন না। হামলার চেষ্টা করলে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আপনাদের প্রতিরোধ।
শামীম ওসমান বলেন, আর নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে বলবো জনগণের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। আর খবর নেন কারা কখন নারায়ণগঞ্জে ঢুকছে আর কারা কখন বের হচ্ছে। মুচে তেল লাগিয়ে বসে থাইকেন না। আর যদি না পারেন তাহলে বলেন আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো, সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। আর সাংবাদিক ভাইদের বলছি আপনারা চোখ কান খোলা রাখেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পক্ষে কথা বলেছিলাম ও পতিতা পল্লী তুলে দেয়ার কারনে আমাকে হত্যার জন্য ১৬ জুনে চাষাড়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলা করা হয়েছিল। এ বোমা হামলায় আমার আশে পাশে যারা ছিল তারা টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। এ বোমা হামলায় ২০ জন লোক মারা গেছে। তাই বলছি ১৬ জুন আর হতে দিবো না। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো।
ফতুল্লার নায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমানের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জামাল উদ্দিন সবুজ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিএম শফিকুল ইসলাম সফি, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সস্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি আবু হানিফ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজ্জাক মাষ্টার, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রতন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, আসমা আকতার রিতা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর হামিদ প্রধান প্রমুখ।