সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সৌদি আরবে গৃহকর্মীর শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলার সিংলাব গ্রামের এক নারী। ১৯ আগস্ট সোমবার মিডিয়াতে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি দূতাবাসে যোগাযোগ করে নারীকে উদ্ধার করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি পুলিশের সহায়তায় নির্যাতিত গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে। নির্যাতনকারী (কফিল) গৃহকর্তাকেও আটক করা হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে শীঘ্রই নির্যাতিত গৃহকর্মীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার।
পসরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা নির্যাতিত গৃহকর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সৌদি দূতাবাসের পক্ষ থেকে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সিংলাব গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি আরব গৃহকর্মীর কাজ করার জন্য বৈধভাবে চলতি বছরের ২রা জুন সৌদি আরবের মদিনায় যান। যাওয়ার আগে দেশে সে গৃহকর্মী কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের একটি পরিবারে গৃহকর্মীর কাজে যোগ দেন।
অভিযোগ উঠেছে, কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গৃহকর্তা ও ছেলে গৃহকর্মীর উপর শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি যৌন নির্যাতন চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় জলন্ত সিগারেটের আগুন দিয়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ছ্যাকা দেয়। এতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মোবাইল ফোনে নির্যাতিত গৃহকর্মী বাংলাদেশে তার বাবা সিরাজুল ইসলামকে অবহিত করে। গত রবিবার সিরাজুল ইসলাম তার মেয়েকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের মাধ্যমে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে একটি আবেদন করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, গৃহকর্মীর নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীকে দূতাবাস সৌদি পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করেছে। শীঘ্রই আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গৃহকর্মীকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি দূতাবাসে এব্যাপারে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।