সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে গেস্খপ্তার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম। ২১ আগস্ট বুধবার বিকেলে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার উপ-পরিচালক তালুকদার নাজমুছ সাকিব এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, র্যাব ১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে ২১ আগস্ট দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন মুশরী সাবাসপুর হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত ‘মডার্ণ হেলথ্ সেন্টারে’ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট তৈরী করার সময় ভুয়া ডাক্তার মোঃ নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ এন. আলম, এমবিবিএস, সিএমইউ, ডিএমইউ, কনাসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) নামীয় ৩ জন রোগীর ৩টি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট (যেখানে তার স্বাক্ষর আছে), ১টি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ১টি মনিটর, ১টি সিপিইউ ও ২টি প্রিন্টার জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, মোঃ নূরে আলম এর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন ধুপতারা এলাকায়। সে দীর্ঘদিন নিজেকে বিশেষজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ‘মডার্ণ হেলথ্ সেন্টার’ এ নিয়মিত রোগীদের বিভিন্ন ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট তৈরী করে আসছে। সে তার নামের পাশে ডাক্তারী ডিগ্রি হিসেবে নিজেকে ডাঃ মোঃ নূরে আলম এমবিবিএস, সিএমইউ, ডিএমইউ, কনাসালটেন্ট (সনোলজিস্ট), মডার্ণ হেলথ্ সেন্টার, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ নামে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ফরমে উল্লেখ করেছে।
র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার এমবিবিএস ডাক্তারী সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে সে কোন এমবিবিএস ডাক্তারী সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখাতে পারেনি।
জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো জানায় স্থানীয় স্কুল হতে ২০০১ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি এবং ২০০৪ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে জিপিএ-২.৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। পরবর্তীতে সে মেডিকেল ওটি বয় হিসেবে কাজ করত। ২০০৮ সালে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি নকল ভারতীয় এমবিবিএস সার্টিফিকেট ক্রয় করে এবং তা ব্যবহার করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। সে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার ও কনসালটেন্ট সনোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুমোদনবিহীন “মডার্ণ হেলথ্ সেন্টার’ এ রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মনগরা রিপোর্ট তেরী করে আসছিল।