সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের চাঁনপুরে নির্দিষ্ট কোন ধরণের অনুষ্ঠান ছাড়াই চানপুর জামে মসজিদের পিছনে ১৯ আগস্ট সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত ঐ গ্রামের মনুর বাড়িতে খলিল মেম্বারের নেতৃত্বে মদ্যপান, উচ্চ আওয়াজে ব্যান্ড বাদ্য, বড় স্পিকারে গান বাজানো ও ১৫জনের মত মহিলা অশ্লীল নৃত্যশিল্পী দ্বারা উদ্যম নৃত্য পরিচালনা করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এই কারণে চানপুর এলাকার অধিকাংশ মানুষকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধদের বেশী কষ্ট হয়েছে এবং জনমনে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা ও মসজিদের মুসল্লীরা সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই মদ্যপান সহ বিভিন্ন মাদক সেবন সেখানে চলেছে। বিভিন্ন বহিরাগতরা সেখানে হাজির হয়ে মদ্যপান, নাচ গানে মত্ত হয়ে একটি অশ্লীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। প্রায়ই মনুর বাড়ীতে এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিষয়টি আমরা বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। রাত ১১টার পর ধামগড় ফাঁড়ির পুলিশ এসে বন্ধ করতে বলে। তখন ১০ মিনিট বন্ধ থাকে। পুলিশ বন্ধ করে রাস্তায় আসার সাথে সাথে আবারও শুরু হয়ে যায়। তখন পুলিশ আবারো বন্ধ করতে গেলে খলিল মেম্বার জানায় রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে এবং ওসি স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া আছে।
পুলিশের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে রাত ৩টা পর্যন্ত নাচ গান চলতে থাকে। রাত ১টার পর পুনরায় বিষয়টি ওসি স্যারকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জানানো হয় এবং তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে আশ্বাস দেন।
গ্রামবাসী আরও জানান যে, খলিল মেম্বার একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি কিভাবে এ ধরণের নাচ গানকে সমর্থন করলেন এবং তার ছত্রছায়ায় আশ্রয় প্রশ্রয়ে প্রায় সময় মনুর বাড়ীতে এ ধরণের অনুষ্ঠান চলে। আমরা এ ধরণের কাজের নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
নাচ গানের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া প্রসঙ্গে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ ধরণের অনুষ্ঠানের অনুমতি আমি দিতে পারিনা। তার এখতিয়ার আমার নেই। রাত ১১টা পর্যন্ত মানুষ ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা তাদের দিয়েছি। তারপরও তারা অনুষ্ঠান চালানোয় অনুষ্ঠান বন্ধে আমি ফোর্স পাঠিয়েছি। অনুমতি দিলে তো নিশ্চই ফোর্স পাঠাতাম না।