সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ক্ষমতার রসদ নিতে পারছেনা বিএনপি। এমন সময় সরকারি দলের লোকজনদের সাথে নিয়ে অবৈধ ব্যবসায় নেমে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী। জেলার অনেক স্থানেই দাপটশালীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে মাদক ব্যবসায়ে নেমে পড়েছে বিএনপির লোকজনও। এবার নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমানের বাড়ি থেকে র্যাব অভিযান চালিয়ে মদ উদ্ধার করেছে এবং সরকারি দলের এক নেত্রীর ছেলেকেও গ্রেপ্তার করেছে।
জানাগেছে, মাহাবুব রহমান এক সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। তৈমূর আলম খন্দকার যখন জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন তখন তৈমূর আলমের নামের উপর রূপগঞ্জের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে মাহাবুবের যাতায়াত ছিল। তৈমূর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির সভাপতির পদ হারালে যখন কাজী মনিরুজ্জামান জেলা বিএনপির সভাপতি হন তখন রূপগঞ্জের ওইসব সেক্টর থেকে সুবিধা নিতে তৈমূরকে পল্টি দিয়ে কাজী মনিরের সঙ্গে রাজনীতিতে যুক্ত হন মাহাবুব। মুুলত রূপগঞ্জের শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যেই যখন যিনি সভাপতি হন তখন তার সঙ্গেই সার্বক্ষনিক ঘুরাফেরা করেন।
এদিকে জানাগেছে, নারায়ায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেীশ মদ, বিয়ার ও দেশীয় চোলাই মদ সহ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী পালের ছেলে দুর্জয় পালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১।
২৪ আগস্ট শনিবার রাতে র্যাব-১ সিপিসি-৩ পূর্বাচল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্যাহ আল মেহেদী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্যাহ আল মেহেদী বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মর্তুজাবাদ দক্ষিণপাড়া এলাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমানের ভাড়াবাড়িতে র্যাব-১ এর একটি অভিযানিক দল অভিযান চালায়। এ সময় একটি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ২২ বোতল বিদেশি মদ, ৪৬ ক্যান বিয়ার ও ৮ লিটার চোরাইমদ সহ উপজেলার আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী পালের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী দুর্জয় পালকে গ্রেপ্তার করেছেন।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দুর্জয় দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার ভুলতা-গাউছিয়া এলাকায় বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।