সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০১০ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ক্রিকেট খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আরাফাত নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে আরও ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আরও দুই অভিযুক্ত আসামি। নিহত আরাফাত সিদ্ধিরগঞ্জ আর্টি এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
২৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে ৩ জন আসামি উপস্থিত ছিল। মামলায় ২৫ সাক্ষীরি মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- ফালাইন্নার ছেলে সজিব, মৃত মোহন মিয়ার ছেলে রাসেল, হারুন অর রশিদের ছেলে জয় আহমেদ ওরফে জাহিদুল ইসলাম, রফিকুল্লাহ ওরফে রফিকের ছেলে ইসছব ওরফে ইউসুফ, মৃত আফজালের ছেলে রফিকুল্লাহ ওরফে রফিক, চান মিয়ার ছেলে দেলোয়ার ওরফে দেলু ও এবং আবু তালেবের ছেলে শামীম।
এদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় পলাতক আসামি রয়েছে- রফিকুল্লাহ ওরফে রফিকের ছেলে ইসছব ওরফে ইউসুফ, মৃত আফজালের ছেলে রফিকুল্লাহ ওরফে রফিক, চান মিয়ার ছেলে দেলোয়ার ওরফে দেলু ও এবং আবু তালেবের ছেলে শামীম।
মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মোসলেমের ছেল রাজু আহম্মেদ ও ইব্রাহিমের ছেলে শফি ওরফে শফিকুল ইসলাম।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ জানান, ২০১০ সালে সিদ্ধিরগঞ্জে ক্রিকেট খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আরাফাতকে আর এম অয়েল মিলের পরিত্যক্ত জায়গায় বেলেট দিয়ে পুঁচিয়ে হত্যা করে ডোবার মধ্যে ফেলে রাখে। পরেরদিন বিকেলে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এরপর আরাফাতের বাবা বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ এই মামলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালত ৩ জন আসামির উপস্থিতিতে ২৫ সাক্ষির মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদ-ের রায় দিয়েছেন এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস দেন।