সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোড সংলগ্ন চাঁন সুপার মার্কেটে অবস্থিত ‘কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স (সিডি কমপ্লেক্সে)’ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট তৈরী করার সময় ভূয়া ডাক্তার মোঃ জহিরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাবের মিডিয়া অফিসার উপ-পরিচালক মেজর নাজমুছ তালুকদার সাকিব এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, র্যাব ১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে ২৭ আগস্ট বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোড সংলগ্ন চাঁন সুপার মার্কেটে অবস্থিত ‘কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স (সিডি কমপ্লেক্সে)’ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট তৈরী করার সময় ভূয়া ডাক্তার মোঃ জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, পিজিটি (মেডিসিন এন্ড গাইনী), সিএমইউ (ডিইউ), ডিএমইউ (ডিইউ), (সনোলজিস্ট) মেডিসিন, মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক নামীয় ৪ জন রোগীর ৪টি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ও ১টি রোগীর দেখার প্রেসক্রিপশন (যেখানে তার স্বাক্ষর আছে), ১টি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ১টি প্রিন্টার, রোগী দেখার স্টেথিস্কোপ-১টি, ১টি ভূয়া অটোসীল, ১টি স্ফেগমোম্যানোমিটার জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, মোঃ জহিরুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন বেজোড়া এলাকায়। সে দীর্ঘদিন নিজেকে বিশেষজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে
‘কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স (সিডি কমপ্লেক্স)’ এ নিয়মিত রোগী দেখা এবং রোগীদের বিভিন্ন ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট তৈরী করে আসছে। সে তার নামের পাশে ডাক্তারী ডিগ্রি হিসেবে নিজেকে ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, পিজিটি (মেডিসিন এন্ড গাইনী), সিএমইউ (ডিইউ), ডিএমইউ (ডিইউ), (সনোলজিস্ট) মেডিসিন, মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ‘কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স (সিডি কমপ্লেক্স)’ চাঁন সুপার মার্কেট ৩য় তলা, মুক্তি স্মরণী, চিটাগাংরোড়, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ নামে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ও প্রেসক্রিপশন ফরমে উল্লেখ করেছে।
র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার এমবিবিএস ডাক্তারী সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে সে কোন এমবিবিএস ডাক্তারী সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখাতে পারেনি।
জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো জানায় স্থানীয় স্কুল হতে ১৯৯০ সালে এসএসসি এবং ১৯৯৩ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে ২য় বিভাগ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। সে মূলত “মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট’ হিসেবে কাজ করত। ২০০৩ সালে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি নকল ভারতীয় এমবিবিএস/এএম সার্টিফিকেট ক্রয় করে এবং তা ব্যবহার করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। সে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার ও (সনোলজিস্ট) মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুমোদনবিহীন ‘কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স (সিডি কমপ্লেক্স)’ এ রোগীদের প্রেসক্রিপশন ও আল্ট্রাসনোগ্রাম সহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মনগরা রিপোর্ট তেরী করে আসছিল।