সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীন শিক্ষকদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, আপনাকে মেধা দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। কোন শিক্ষক স্কুল কিংবা বাইরে নিজের কর্মক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীকে কোচিং পড়াতে পারবে না। এটা দেশের আইন। এ আইন কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা প্রশাসনিকভাবে শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন আপোষ করবো না।
এর আগে ডিসি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আগামীর প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আমরা নিজেরা দেশ পরিচালনা করতে পারছি। আমি জেলা প্রশাসক হতে পারছি আর আপনারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে চাকুরী করতে পারছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা। তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান আমাদের দিতে হবে। তাদের কারনেই আমরা দেশ পেয়েছি। একটি পতাকা আমাদের হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবৌজ্জল অবদানের স্মৃতিকথা আমাদের জানাতে হবে। শিক্ষকরা যদি তাদের কাছ থেকে ইতিহাস জানতে পারে তাহলেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবে। আর বেশী দিন নয় আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প শুনতে পারবো। এক সময় তাদের আমরা আর খুজে পাবো না। জাতি হিসেবে আমরা যাতে অকৃতজ্ঞ না হই। সে জন্য প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে হবে।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং স্মৃতিচারন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
‘মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমি ধারণ করি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের পাঁচজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজউদ্দিন রিজভী, আমিনুর রহমান, জয়নাল আবেদিন টুলু, সামিউল্লাহ মিলন ও লক্ষী চক্রবর্তীকে এ অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয়।
পরিচালনা পরিষদের সভাপতি চন্দন শীলের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিচারণ করেন। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, পরিচালনা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম ও কামরুল ইসলাম খান।
এর আগে জেলা প্রশাসক বিদ্যালয় প্রাংঙ্গনে বৃক্ষরোপন কর্মসুচি এবং বিদ্যালয়ের পাঠাগারে মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের কর্ণার উদ্ধোধন করেন।