সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, যদি কেউ গেম খেলতে চেষ্টা করে, কেউ যদি ফুলের আঁচড় দেয়ার চেষ্টা করে নারায়ণগঞ্জে এবার দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠবে।
৩০ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোক র্যালির পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আর একদিন আছে শোকের মাসের। ৩১ আগস্ট শেষ। এরপর আর কালো পতাকা থাকবেনা। যদি কেউ গেম খেলতে চেষ্টা করে, কেউ যদি ফুলের আঁচড় দেয়ার চেষ্টা করে নারায়ণগঞ্জ এবার দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। এই শপথ আজ নেতকর্মীদের নিয়ে করলাম।
জাতীয় রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র দেশেও চলছে, নারায়ণগঞ্জে বিশেষভাবে চলছে। অসাধু লোক সাধু সাজার চেষ্টা করছে। অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা সাজার চেষ্টা করে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাজনীতি করার চেষ্টা করে। জামাতের সাথে আতাঁতাকারীরা আওয়ামীলীগের সামনের সারির নেতা হওয়ার চেষ্টা করে। দুর্নীতিবাজরা নীতিবাজের কথা শোনায়। আমার কাছে সবকিছুর প্রমাণ আছে।
শামীম ওসমান বলেন, আমার নেত্রী, আমার মা শেখ হাসিনা কয়দিন আগে আমাকে একটা প্রশ্ন করেছিলো তোর এতো ধৈর্য্য হইলো কিভাবে? আমি উত্তর দিয়েছিলাম আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই আমার ধৈর্য্য দেখে। উত্তর দিয়েছিলাম ঊনিশ বছর ধরে তাহাজ্জুত নামায কাজা করিনা। আল্লাহ আমার ধৈর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এর আগে শামীম ওসমান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা আওয়ামীলীগের ভালো চায়নি, তারাই এখন আওয়ামীলীগের জন্য বড় কথা বলার চেষ্টা করছে। ত্যাগীরা পেছনে চলে যাচ্ছে। আমি দেখছি যাদের রাজনীতি করার কথা নয়, যাদের কাজ জনগণের জন্য, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা লালিত পালিত, তারাও এখন অনেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হতে চান। আমি দেখছি তারাও এখন লোকাল পলিটিক্সে ইনভল্ব হতে চান।
তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জকে টার্গেট করা হয়েছে। অনেকে আবার ষড়যন্ত্র করে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামীলীগকে খতম করার জন্য আওয়ামীলীগের সমর্থক, ব্যবসায়ীদের নামে মামলা দেওয়া হয় তাও আবার মার্ডার কেস।
শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ধৈর্য্য ধরা তো অবশ্যই ভালো। কেউ যদি মনে করে এই সাজানো সংসারে কোন ধরণের ঘটনা ঘটাবেন, শান্ত নারায়ণগঞ্জ দেখেছেন, নারায়ণগঞ্জের অশান্ত তো দেখেন নাই। এই নারায়ণগঞ্জ জায়গাটা হচ্ছে একদিকে শীতলক্ষ্যা, একদিকে বুড়িগঙ্গা, একদিকে মেঘনা। কখন ¯্রােত, কখন ভাটা উঠবে অনেকের জন্য এটা বোঝা অনেক মুশকিল। আমরা যারা এখানকার বাসিন্দা তারা এটা বুঝি।
শামীম ওসমান আরো বলেন, যারা খেলায় খেলেছেন আমাদের ভেতরে এবং বাইরে। কেউ টার্গেট করেন মতিরে, কেউ টার্গেট করেন হাসানকে, কেউ টার্গেট করেন আলারে, কেউ টার্গেট করেন ইয়াসিন ভাইরে একেকজন একেকজনকে টার্গেট করেন, করাচ্ছেন। কেন? আওয়ামীলীগের শক্তি কমাইয়া দেবেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান আরও বলেন, আপনারা সজাগ থাকেন, ঐক্যবদ্ধ থাকেন। বাংলাদেশে মনে হয় এখন সবাই আওয়ামীলীগ করে। মনে হয় আওয়ামীলীগের বাইরে কেউই নাই। আর যারা অরিজিনাল আওয়ামীলীগ করে যাদের সিএস, আরএস পর্চা আওয়ামীলীগার এরাই মনে হয় এখন আওয়ামীলীগ না অন্য কিছু হয়ে গেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক র্যালী পূর্ব পথসভায় উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান বেপারী, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু কালীপদ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু, থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান মতি, জেলা কৃষকলীগের সিনিয়র-সহ-সভাপতি আব্দুল হেকিম, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী, থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু, নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দিপু, আওয়ামীলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন নাজু, আনিসুর রহমান, নজরুল ইসলাম প্রমূখ।