সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির শীর্ষ পদে থাকলেও বরাবরেই মতই জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করছেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির বেশকজন নেতা। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রকাশ্যে বিএনপির বিরোধীতা করে জাতীয়পার্টি ও আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করলেও তারা এখনও বিএনপির পদে বহাল রয়েছেন রহস্যজনক কারনে। বরাবরের মত এবারও জাতীয়পার্টির অনুষ্ঠানে গিয়েছেন বিএনপির পদধারী বেশকজন নেতা।
জানাগেছে, ৩০ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর ঘাট সংলগ্ন ময়মনসিংপট্টি এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেহলাম উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে গিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ও বিএনপির কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন শওকত হাসেম শকু। যা ধানের শীষের ওই প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন। প্রকাশ্যে তিনি সরকারি দলের পক্ষ্যে গিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছিলেন। অথচ তিনি মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।
ওই নির্বাচনে হান্নান সরকার লাঙ্গলের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগে ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতীয়পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে তার যত টাকা লাগবে তিনি খরচ করবেন। লাঙ্গলের প্রার্থীকে নিয়ে হান্নান সরকার নির্বাচনী প্রচারণাও চালান। অথচ তিনি মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক।
এ ছাড়াও মহানগর বিএনপি নেতা ও বিএনপির কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়াও নিয়মিত জাতীয়পার্টির হয়ে কাজ করেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বন্দরের সিরাজদৌলা মাঠে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচনী জনসভায় বাধা দিয়েছিলেন সুলতান আহমেদ। সুলতানের বাধার কারনে ওই মাঠে মির্জা ফখরুল ইসলাম জনসভা অন্যত্র মাঠে করতে হয়।
তবে ওই নির্বাচনে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলও জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করেছিলেন। দীর্ঘদিন যাবত জাতীয়পার্টির হয়ে কাজ করে আসছিলেন মুকুল। তবে শুক্রবারের অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি। জাতীয় পার্টির দালালি করলেও তিনি বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূনরায় চেয়ারম্যান হতে পারেননি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও পারেননি তিনি।
জাতীয়পার্টির এমপি একেএম সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয়পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সাবেক সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর ড. শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বিএনপি নেতা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, কাউন্সিলর কবির হোসাইন, কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল, কাউন্সিলর শফিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, মুছাপূর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ ও জেলা যুবসংহতির আহ্বায়ক রাজা হোসেন প্রমূখ।