সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রলারে ২’শ ২০টি ড্রাম ভর্তি ৪১ হাজার ৮’শ লিটার চোরাই পাম ওয়েল উদ্ধার করেছে। চোরাই কাজে ব্যবহৃত ট্র্রলার তিনটিও উদ্ধার করেছে র্যাব। ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার তালুকদার নাজমুছ সাকিব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন ছয়হিষ্যা নদী ঘাটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২২০টি ড্রামে ৪১ হাজার ৮’শ লিটার চোরাই পাম ওয়েল উদ্ধার করা হয় এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত ৩টি ইঞ্জিনচালিত তেলের ট্রলার উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২১ লক্ষাধিক টাকা।
র্যাব আরও জানায়, এ সময় চোরাই তেলের ব্যাপারটি আইনের আওতায় না আনার জন্য চোরাই তেলের মূল হোতা মোঃ রফিকুল ইসলাম র্যাব সদস্যদের ১০ লক্ষ টাকা উৎকোচ দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলশ্রুতিতে ঘুষের টাকা সহ মোঃ রফিকুল ইসলামকে র্যাব সদস্যরা আটক করে।
র্যাব জানায়, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে পাম ওয়েল সহ অন্যান্য ভোজ্য ও জ্বালানি তেল চোরাইভাবে কেনাবেচা করে আসছে। এই চোরাই পাম ওয়েল নারায়ণগঞ্জ সহ ঢাকার বিভিন্ন তেল ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতো।
র্যাব জানায়, মোঃ রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন ছয়হিষ্যা গ্রামের মৃত আবুল কাসেম সরকারের ছেলে। ছয়হিষ্যা ঘাটে বেশ কয়েকটি চোরাই পাম ওয়েলের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই ছয়হিষ্যা ঘাট এলাকায় চলমান জাহাজ হতে সুকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ পাম ওয়েল সহ অন্যান্য তেল চুরি করে আসছে। উক্ত চোরাই চক্র এই পাম ওয়েলের সাথে ভেজাল তেল মিশিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে এই তেল সরবরাহ করে থাকে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত মোঃ রফিকুল ইসলাম এই চোরাই পাম ওয়েল সিন্ডিকেটের মূল হোতা। এই চোরাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।