সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত বিএনপি নেতা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খাঁন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয়পার্টির এমপি একেএম সেলিম ওসমানের বিষয়ে জাকির খাঁন বেশকিছু মন্তব্য করেছেন। যেখানে তিনি মেয়র হিসেবে আইভীকে ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত করে তার ভুলত্রুটিও তুলে ধরেছেন। শামীম ওসমান প্রসঙ্গে বলেছেন, তার ফাঁকা বুলি মানুষ বিশ্বাস করেনা এবং সেলিম ওসমানকে তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে নয় একজন ব্যবসায়ী নেতা হিসেবেই মুল্যায়ণ করেছেন।
সম্প্রতি টুডে টাইমস নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাক্ষাৎকারে জাকির খান উপরোক্ত জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে কথা বলেন। তবে জাকির খান দেশের বাহিরে থাকলেও তিনি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন জাকির খান। তিনি কি কারনে দেশের বাহিরে রয়েছেন তারও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের একসময়কার দাপটশালী এই ছাত্র নেতা। টুডে টাইমসের সাংবাদিক খোকন প্রধান সম্প্রতি জাকির খানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করে ওই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন।
আপনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে মনে করেন মেয়র হিসেবে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী কতটা সফল ? এমন প্রশ্নে জাকির খাঁন বলেন, আমার প্রিয় নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিলো। আমরা একটি সুন্দর, আধুনিক বাস যোগ্য শহর হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ শহরকে। কিন্তু মেয়র আইভী এসব কিছুই করতে পারেনি। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন, জাইকার সহযোগিতা থাকার পরেও কিন্তু এ শহরে একটি উন্নত মানের পার্ক, আধুনিক হাসপাতাল, মানসম্মত বিশ্ব বিদ্যালয়, স্কুল এখনো গড়ে উঠেনি। আমি এক কথায় বলবো মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী একজন ব্যর্থ মেয়র।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরে অতীতে দুইবার বিএনপির সমর্থিত, মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম সরদার ও অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেনকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে মেয়র আইভী, আগামীতে বিএনপি থেকে যদি আপনাকে মেয়র পদে মনোনীত করে সেক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কি থাকবে?
এ বিষয়ে জাকির খাঁন বলেন, আমার নেতা তারেক রহমান যদি আমাকে যোগ্য মনে করে, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় নারায়ণগগঞ্জবাসীর স্বার্থে মেয়র কেন যে কোনো পর্যায়ের নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করবো ইনশাহআল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জের এমপি সেলিম ওসমান ও এমপি শামীম ওসমানের ভুমিকা নিয়ে জানতে চাইলে জাকির খান বলেন, এমপি সেলিম ওসমান সাহেব একজন ব্যবসায়ী তিনি নাসিম ভাই (প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমান) মৃত্যুবরণ করায় এমপি হয়েছেন। আর শামীম ওসমান সম্পর্কে বলবো, তার কথার ফাঁকা বুলি নারায়ণগঞ্জবাসী এখন বিশ্বাস করেনা। কারন নারায়ণগঞ্জবাসী এখন অনেক সচেতন, অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণের রায়ে বুঝবেন তারা সফল না ব্যর্থ।
নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাচিত কমান্ডার, ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আলীর কর্মকান্ড সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি? জানতে চাইলে জাকির খাঁন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ভাই নারায়ণগঞ্জের গর্ব, উনি দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তিনি আমাদের মুরুব্বী। মোহাম্মদ আলী ভাই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার সহযোদ্ধাদের বিপদ আপদে এগিয়ে আসেন, ব্যবসায়ী মহল সহ সকল শ্রেণির মানুষের নানা সমস্যায় তাদের পাশে থাকেন এবং তার সাধ্য অনুযায়ী তিনি তাদের সহযোগিতা করেন।
সাক্ষাৎকারে জাকির খান বলেন, আমি ও আমার দেশের মানুষ আমরা কেউই এখন ভালো নেই। বর্তমান আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ সরকার আইন-আদালতকে তাদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। ৪ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করেছে রেখেছে, সারাদেশে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক, গায়েবী মামলা দিয়েছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বিনা দোষে কারাবন্দী করে রেখেছে। আওয়ামী সরকার এখন পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিনত করে ফেলেছে। যে কারনে আমরা ভাল নেই।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খান আরও বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ আর পুলিশ লীগের মাধ্যমে আমার দলের নেতাকর্মীদের উপর চলছে নির্যাতন-হয়রানী। বাড়ী ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপির লোকজন। গণতন্ত্র এখন পুলিশের বুটের তলায় বন্দী হয়ে পড়েছে, ব্যবসায়ীরা আতংকে ব্যবসা করছে, দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, চাদাঁবাজী ব্যাপক হারে বেড়েছে আর মাদকের গণজোয়ারে এখন ভাসছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বিএনপির অনেক নেতা গুমের শিকার হয়েছেন, বিনা বিচারে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে বিএনপির অনেক নেতার। এসব কারনে দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে আমি প্রায় ১ যুগেরও বেশী দিন যাবৎ বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি।
কবে নাগাদ দেশে যাবেন আর প্রবাসে থেকে আপনি কিভাবে বিএনপির রাজনীতিতে ভূমিকা রাখছেন জানতে চাইলে জাকির খাঁন বলেন, আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভাইয়ের নির্দেশ পেলেই আমি দেশে ফিরবো ইনশাহআল্লাহ্। আর আমি বিদেশে থাকলেও প্রতিনিয়ত আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচি পালন করছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে আমি প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে সামিল রয়েছি। কারন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য বেগম জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে কারামুক্ত করে তার নেতৃত্বে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, আর বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পরিস্থিতিতে আপনার দলের অনেকে মনে করছেন আপনি দেশে এসে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিলে দলের গতি ফিরবে এবং এ জেলায় বিএনপি অনেক শক্তিশালী হবে এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বর্তমানে যারা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছে তারা প্রায় সবাই দলের ত্যাগী, নির্যাতিত, পরীক্ষিত এবং দক্ষ সংগঠক বলে আমি মনে করি। সারা দেশের মতো এ জেলাতেও সরকারী দলের ক্যাডার ও পুলিশ লীগের বাধাঁর মাঝেও আমাদের নেতাকর্মীরা দলের সকল কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে, কারাগারে রয়েছে এখনো অনেক নেতাকর্মী। তারপরেও আমরা রাজপথে নামছি যদিও আমাদের কোনো ধরণের জনসভা, মিছিল মিটিং করতে দিচ্ছে না। পুলিশ বাধাঁ সৃষ্টি করে যাচ্ছে সব সময়। আর বিএনপি অতীতের চেয়ে এখন আরো বেশী জনপ্রিয় ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এ জেলায় এর প্রমান আপনারা দেখতে পারবেন যখন অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে তখনি দেখতে পাবেন বিএনপির জনপ্রিয়তা। এই সরকারের কোন জনপ্রিয়তা নেই।
অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির অনেক নেতা এখন সরকারী দলের সাথে আঁতাত করে চলছে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের কারনে অনেক তৃনমূল নেতাকর্মীরা হতাশ এবং এতে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন জানতে চাইলে জাকির খাঁন বলেন, যারা বর্তমান জালিম সরকারের সাথে আঁতাত করে বিএনপিতে রয়েছে তারা এ যুগের মীর জাফর। তবে তাদের এ সংখ্যা নগণ্য, বিএনপির ৯৯ ভাগ নেতাকর্মী দলের নিবেদিত প্রাণ। এখন যারা আওয়ামী সরকারের দালালি করছেন, তাদের সাথে গোপন আতাঁত করে সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন, তাদের বিষয়ে তারেক রহমান অবগত রয়েছেন। আগামীতে তাদের দলীয় অবস্থান কি হবে সেটা সময় বলে দিবে, আমি আমরা রাজনৈতিক সহযোদ্ধা দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত, নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ করবো আমরা সকল মান-অভিমান ভূলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ্য থেকে দেশ মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সামিল হয়ে দ্রুত সময়ে তাকে কারামুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বেগম জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করে তুলি।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে একাধিক গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে যে কারনে এখন এ জেলায় বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দূর্বল রয়েছে এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি জানতে চাইলে জাকির খাঁন বলেন, আমি বিশ্বাস করি না নারায়ণগঞ্জের বিএনপিতে গ্রুপিং রয়েছে। আমরা সবাই স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশ বুকে ধারণ করে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ্য হয়ে বিএনপির রাজনীতিতে রয়েছি। সাংগঠনিকভাবে আমরা তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত কাজ করতে পারছিনা সরকারী দলের ক্যাডার ও আওয়ামী পুলিশের বাধাঁর কারনে। এ ক্ষেত্রে সাংগঠনিক কোনো দূর্বলতা আমি দেখি না।
আপনি তো দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন আপনার সময়ের ছাত্রদল আর আজকের জেলা ছাত্রদলের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু আর বর্তমান ছাত্রদলের নেতৃত্বকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে জাকির খাঁন বলেন, দেখুন আমি যখন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম তখন আমি প্রতিটি ইউনিয়ন, থানা এবং উপজেলা, মহানগর কমিটিতে মেধাবী, সৎ এবং দক্ষ্যদের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি করেদিয়েছিলাম। আমার সময়ে যারা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বে ছিলো আজ তাদের অনেকেই জেলা বিএনপি, মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বর্তমানে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতৃত্বে যারা রয়েছে তারা সকলেই মেধাবী, সৎ, দক্ষ। আশা করি তাদের মাধ্যমে এ জেলার ছাত্রদলের রাজনীতি আমাদের চেয়েও আরো বেশী শক্তিশালী হবে, পাশাপাশি বিএনপির আগামী নেতৃত্বে এরা নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
এখন নারায়ণগঞ্জে অনেক নিউজ পোর্টাল, দৈনিক সংবাদ মাধ্যম রয়েছে আপনি তাদের কাছে কি প্রত্যাশা? এ বিষয়ে জাকির খান বলেন, আমি সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা করি, আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করি আপনারা হলেন জাতির বিবেক, আপনারা সঠিক তথ্য উদঘাটন করে সত্য সংবাদ প্রকাশ করবেন। সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ করি আপনারা কোনো বিশেষ ব্যক্তি কিংবা মহলের ইশারায় মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে কোনো ধরণের সংবাদ প্রকাশ করবেন না।
নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে জাকির খান বলেন, প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি রাজনৈতিক কারনে দীর্ঘ ১ যুগেরও বেশী সময় আপনাদের কাছ থেকে বহু দূরে অবস্থান করলেও আমার মন সব সময় আপনাদের মাঝে পড়ে রয়েছে। আমি আপনাদের সন্তান, কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, সকলের কাছে একটি আহ্বান জানাই আমার ব্যক্তি জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে যদি কোনো ধরণের ভূল করে থাকি, কেউ যদি আমার কাছ থেকে সামান্য আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমি আমার নেতা তারেক রহমান ভাইয়ের নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে ফিরে আসব আমার প্রিয় নারায়ণগঞ্জে, আপনারদের মাঝে।
এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আলোচিত নেতা জাকির খাঁন ১৯৯৮থেকে২০০৪ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি দেশের বাহিরে থাকলেও তার অনুগামী নেতাকর্মীরা তার ছবি সম্বলিত ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিগুলো পালন করছেন। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতীদলের কমিটিতে জাকির খান অনুগামী অনেক নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। তারা নিয়মিত জাকির খানের ব্যানার নিয়ে জেলা সহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলোতে শোডাউন করেই যোগদান করছেন। যার অগ্রভাগে জাকির খানের পক্ষে জোড়ালোভাবে মাঠে দেখা যায় জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিংরাজ খান, মৎস্যজীবী দলের লিংকন খান, মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহ সহ এরকম অর্ধশত নেতা যারা জাকির খানের পক্ষে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছেন।