সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এক ঘন্টা পুলিশে অবরুদ্ধ ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। পরবর্তীতে পুলিশি বাধা পেরিয়ে নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে এসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে এর আগে বিকেল থেকেই মানববন্ধনের আয়োজিত স্থানের সামনে পুুলিশ অবস্থান নেন। সাখাওয়াত হোসেন খান যখন অবরুদ্ধ পুলিশি বাধায় তখন রাস্তার সামনে লাঠি হাতে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পুুলিশকে।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী বৃষ্টিতে ভিজে এসে অবস্থান নেন। ওই সময় সদর মডেল থানা পুলিশ নেতাকর্মীদের মার্কেটের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে মার্কেটের সিড়িতে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ওই সময় নেতাকর্মীরা মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অবস্থান নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দফায় দফায় শ্লোগান দেন। একই সময়ে সাখাওয়াত হোসেন খানও পুুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সাখাওয়াত হোসেন খান রাস্তায় নামার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখালে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার করলে করেন, তবুও আমরা কর্মসূচি পালন করব।’
প্রায় সোয়া এক ঘন্টা পর নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিয়ে মানববন্ধনে দাড়িয়ে যান। তবে মার্কেটের দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলার বাড়ান্দায় অবস্থান নেয়া নেতাকর্মীদের বের হতে দেয়নি পুুলিশ। পুলিশ মার্কেটের সিড়িতে অবস্থান নেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের একাংশ অবস্থান নেন এবং বাকি নেতাকর্মীরা মার্কেটের দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলায় অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। মানববন্ধনে সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্য রাখেন। যেখানে চার দিকে পুুলিশ অবস্থান নেন। বক্তব্য শেষে সাখাওয়াত হোসেন খান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এই কর্মসূচিতে সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উদ্দীন আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, হাজী গোলজার হোসেন খান, ইসমাঈল হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহিউদ্দীন শিশির, মীর আলমগীর হোসেন, ইকবাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আকবর হোসেন, জেলা বিএনপির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এসএম আসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, মহানগর শ্রমিকদলের নেতা ফারুক হোসেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, বন্দর থানা শ্রমিকদলের সভাপতি বাবুল প্রধান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবু, লিংরাজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহ, জেলা পরিবহন শ্রমিকদল নেতা শহিদ হোসেন সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির, সজীব খন্দকার, লিংকন খান, সম্রাট হাসান সুজন, সুমন হাওলাদার, আল আমিন ভূ্ইঁয়া, মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, অপু রহমান, ফয়সাল সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতাকর্মী।