সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ দশটি আসনেও জয়ী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। তিনি এও বলেছেন, শেখ হাসিনা কথা রাখেননি। বলেছিলেন দশ টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনা চোখের চিকিৎসার জন্য ক’মাস পরপর বিদেশে চলে যান। অথচ আমাদের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ্য তার চিকিৎসা করতে দিচ্ছেনা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে বহিস্কারের বিষয়টি টেনে দুদু বলেন, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় কোটি টাকার দুর্নীতির কারনে ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে বহিস্কার করা হয়েছে। আমি বলব তাহলে শেখ হাসিনাকে সবার আগে বহিস্কার করা উচিত। তিনি দুর্নীতির শীর্ষে। তাই আপনি পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনেও জয়ী হতে পারবেনা।’
‘এই সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ ব্যাংক থেকেই অর্থ লুটপাট হয়েছে। এমন একটা দেশে আমরা বাস করছি যেখানে গণতন্ত্র নেই, যেখানে নির্বাচন নাই সেখানে সচেতনতাও নেই। কিছুই নাই। তাই রাস্তায় বেড়িয়ে আন্দোলন না করলে এই জালিম সরকারকে সরানো যাবেনা।’
১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর মাসদাইর এলাকায় জেলা ও মহানগর কৃষকদলের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে, যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল তখন চালের মূল্য ছিল ১৬টাকা কেজি, তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ক্ষমতায় আসলে ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন। কিন্ত এখন চালের দাম কত? ৫০ টাকার বেশি। তিনি কথা রাখেননি। শেখ হাসিনা বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে কিন্তু চাকরি কি দিয়েছে? তিনি বলেছিলেন কৃষকের স্বার্থে হেলিকপ্টারেও চড়বেন না। হেলিকাপ্টার দিয়ে সার ঘরে ঘরে পৌছে দেবেন, কিছুই দেয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের সভাপতি শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য সচিব হাসান ফাকির তুহিন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য এসকে সাদি, কেন্দ্রীয় সদস্য নাজিমউদ্দিন হাজারি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি সিটি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রমূখ।