সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকায় ১২ বছরের আবু তালেব আকাশ নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার সুপার শিক্ষক নোমান আহমেদকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসার বাথরুম থেকে আকাশের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গলায় গামছা প্যাঁচানো লাশ দেখতে পায় শিক্ষার্থীরা। নিহত আকাশ রুপগঞ্জের রূপসী এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের সুলতানিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির হেফজখানার শিক্ষার্থী।
ঘটনাস্থলে থাকা আকাশের বন্ধু আতিকুল ইসলাম আতিক জানায়, আসর নামাজের পর দেয়া বিরতিতে আকাশ বাথরুমে যায়। এর প্রায় ঘন্টাখানেক পেরিয়ে গেলেও সে বাথরুম থেকে বের হয়নি। একপর্যায়ে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে বাথরুমের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। মাদ্রাসার ছাত্ররা মিলে দরজা ভেঙ্গে তাকে বাথরুমের জানালার সাথে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মাদ্রাসার সুপার নোমান আহমেদ দাবি করেন, ‘আসর নামাজের পরে আমি মাদ্রাসার বাইরে চলে যাই। মাগরিবের আগে এসে শুনি গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আকাশকে পাওয়া গেছে। কি কারনে মারা গেলো তা আমার জানা নেই।’
আকাশের চাচা আলমগীর অভিযোগ করেন, তাকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের কিছু স্থান দেখে এমনটাই আমাদের মনে হয়েছে। তাছাড়া তার বন্ধুরাও বলাৎকারের ঘটনার সাথে মিলে যায় এমন তথ্য আমাদের জানিয়েছে। আকাশের বাবা-মা ঢাকা থেকে এখনও ফিরতে পারেনি। তারা এলেই মামলার ব্যাপারে প্রস্তুতি নেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ খানপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার অমিত রায় বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় এখানে আনা হয়েছে। তার গলায় ফাঁস লাগানোর মত কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্বজনরা বলাৎকারের ঘটনা দাবী করলেও সেটি ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত করা যাবে।